—প্রতীকী চিত্র।
নকল সোনার লেনদেনে এক পুলিশ অফিসারের নাম জড়ানোর অভিযোগকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মাটিগাড়া থানার পুলিশ শিলিগুড়ি আদালতে ওই আবেদন করে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত রবিবার মাটিগাড়ায় হিমাঞ্চল বিহার থেকে দুই যুবককে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসারেরা। গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, নেপালের কাঁকরভিটা লাগোয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীকে নকল সোনা দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষা হয়েছে। সেই মতন গাড়ি সমেত দুই জনকে ধরা হয়।
গোয়েন্দা শাখা সূত্রের খবর, গাড়ি বা ঘটনাস্থল কোথাও থেকে টাকা বা নকল সোনা মেলেনি। পরে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নেপালের ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলা হয়। কিন্তু লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। জেরায় দুই যুবকের কাছে এক পুলিশ অফিসারের নাম জানা যায়। ব্যবসায়ীও দাবি করেন, বিধাননগর এলাকার ওই পুলিশ কর্মীর কাছে নকল সোনা রয়েছে। মোবাইলে কিছু রেকর্ডিংও রয়েছে। রাত অবধি খোঁজখবরের পরে তা অবশ্য মেলেনি। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। শেষ, মাটিগাড়া এলাকায় সন্দেহজনক গতিবিধির অভিযোগে গাড়ি-সহ দুই যুবককে ধরা হয়। এদিন তাদের আদালতে পাঠান হয়। অভিযুক্তরা জামিনও পেয়েছেন। গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানান, সূত্রের খবরে অভিযান হয়েছিল। ব্যবসায়ীর অভিযোগ গুরুতর ছিল। তিনি ওই চক্রে দার্জিলিং পুলিশের এক অফিসার-সহ আরও কয়েক জনের নাম বলেছেন। গোটা চক্রটি নকল সোনার ব্যবসা করে বলে অভিযোগ। নথিপত্র, জিএসটি ছাড়া ব্যবসায়ীদের সোনা বিক্রির টোপ দেওয়া হয়। পরে নকল সোনার দিয়ে মোটা টাকা হাতানো হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy