সৌকর্য: শিলিগুড়ির মাটিগাড়া পালপাড়ায মাটির রঙিন প্রদীপ শুকোনোর পালা। ছবি: বিনোদ দাস।
বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ হতেই শিলিগুড়ি শহর জুড়ে তৎপর হল পুলিশ। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি বিক্রি হতে দেখলেই তা বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। এছাড়া, শহর জুড়ে অভিযান চালিয়ে প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালীপুজো ও দীপাবলি অবধি বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার অভিযান চলবে বলে কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার রাতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের গেট বাজার এলাকায় একটি দোকানে হানা দেয় প্রধাননগর থানার পুলিশ। দোকান থেকে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আটক করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। শনিবার থেকে বিভিন্ন বাজার ও পাড়ার দোকানগুলিতেও নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। কোথাও বাজি পোড়ানো হলে বাসিন্দাদের পুলিশকে জানানোর কথা বলেছেন কমিশনার গৌরব শর্মা।
কয়েক সপ্তাহে শহরে বিভিন্ন দোকানে লক্ষাধিক টাকার বাজি নিয়ে আসা হয়েছিল বিক্রির জন্য। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরে ঢুকেছে বিপুল শব্দবাজিও। দুর্গাপুজোর পর অভিযানে নেমে এনজেপি, শিলিগুড়ি, প্রধাননগর-সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় লক্ষাধিক টাকার শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার থেকে সমস্ত বাজি বিক্রিতে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই আরও তৎপর পুলিশ।
তবে অনেক দোকান থেকে বাজির পসরা সরানো হলেও কিছু দোকানে এখনও চুপিসারে সেগুলি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যে-কারণে থানাগুলিকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে বলে খবর। তবে এরই মধ্যে সন্ধে হতেই শহরে নানা জায়গায় বাজি পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কয়েকদিনে অনেকে বাজি কিনেছেন। কালীপুজো ও দীপাবলিতে কিছু সংখ্যায় হলেও যে বাজি পোড়ানো হবে সেই আশঙ্কা করছেন সকলে। কালীপুজোর দিনকয়েক আগে শহরে বাজি পোড়ানো শুরু হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বাজি ব্যবহার রুখতে পুলিশকে আরও কড়া ভূমিকা নিতে হবে বলে দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy