নেপালে পালানোর সময় মালদহের রতুয়া থানার সামসিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার দুপুরে রতুয়ার নুরপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ধৃত পারভেজ শেখ, সাদিকুল ইসলাম ও বাদশা শেখ সামসি এলাকারই বাসিন্দা।
ধৃতদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকার জাল নোটও পুলিশ উদ্ধার করেছে। দলটি জাল টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে।ঘটনার দু’দিন পরেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ দিন ইদ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি তল্লাশি চলছিল। সেই সময়েই তাদের ধরা হয়। দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ওই ঘটনায় বিহারের বেশ কিছু দুষ্কৃতীও জড়িত বলে জানা গিয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কাকতালীয় ভাবেই ওই তিন দুষ্কৃতী পুলিশের জালে ধরা পড়ে। বিহারের কিছু দুষ্কৃতীর সঙ্গে ওই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীও জড়িত বলে জানতে পেরেছিল পুলিশ। কিন্তু বাড়িতে হানা দিলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ দিন নুরপুর সেতুর এপারে মোটরবাইকে তল্লাশি চলছিল পুলিশের। ওই সময় তাদের আটকানো হয়। ৭০ হাজার জাল টাকা নিয়ে তারা নেপালে যাচ্ছিল বলে পুলিশকে জানায়। পরে তাদের নাম-ঠিকানা, সামসিতে ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মেলে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, ইদ ও রথযাত্রা নিয়ে পুলিশ ব্যস্ত থাকবে ভেবে পালানোর জন্য তারা এই দিনটিকে বেছে নিয়েছিল। কেন না এ দিন সকালে নমাজের পর রাস্তায় প্রচুর মানুষ বেরিয়েছিলেন। প্রথমে ওই তিন জনও আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় বাইকের ডিকি খুলতেই জাল টাকা বেরিয়ে পড়ে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত বুধবার মাঝরাতে সামসির ব্যবসায়ী রাজেন সাহার বাড়িতে ওই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। স্টিলের আলমারি সহ নানা আসবাবপত্র তৈরির কারখানার মালিক রাজেনবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy