Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Crackers

ঘুরে বেড়াচ্ছে নজরদারি চোখ 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রীতিমতো ম্যাপ তৈরি করে ময়দানে নেমেছে পুলিশ। কোন রুটে কীভাবে জেলায় বাজি ঢুকতে পারে, জেলায় সেই সব জায়গায় তল্লাশি চলছে। নজর রাখা হচ্ছে বড় বড় বাজারগুলিতেও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
Share: Save:

বাস-ট্রেনে তল্লাশি চলে নিয়মিত। কারা মজুত করতে পারে শব্দবাজি, সেই সব জায়গায় চলতে থাকে অভিযান। গ্রেফতার হয়, নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারও হয়। তার পরেও কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে দেদারে ফাটতে থাকে শব্দবাজি। কোচবিহারে এমন দৃশ্য যেন দেখা যায় প্রতিবারই। এ বারে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য তো বটেই দেশ জুড়েই এক আতঙ্কের পরিবেশ। এই অবস্থায় শুধু শব্দবাজি নয়, সমস্ত ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। অনেকে ইতিমধ্যেই আবেদন রাখতে শুরু করেছেন, এ বারে অন্ততপক্ষে যাতে কেউই বাজি-উৎসবে না মাতেন। এ বার আদালতের নির্দেশও এসে গিয়েছে। তার কারণে, এখন থেকেই বাজি নিয়ে কড়া ব্যবস্থার দিকে হাঁটতে চাইছে জোলা পুলিশ ও প্রশাসন।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রীতিমতো ম্যাপ তৈরি করে ময়দানে নেমেছে পুলিশ। কোন রুটে কীভাবে জেলায় বাজি ঢুকতে পারে, জেলায় সেই সব জায়গায় তল্লাশি চলছে। নজর রাখা হচ্ছে বড় বড় বাজারগুলিতেও। যাতে কোনও ভাবেই সেখান থেকে বাজি ছোট বাজারে পৌঁছতে না পারে। এর বাইরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তাও দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে টানা প্রচারের চিন্তাভাবনাও রয়েছে। কোচবিহারের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “বাজির বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। নির্দেশ মতোই ব্যবস্থা হবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু মানুষ বেপরোয়া। সব জেনেবুঝেও তাঁরা কিছু মানতে চান না। তাঁদের জন্যেই সমস্যা তৈরি হয়। এ বারে অন্যরকম পরিস্থিতি, তাই সকলের এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে বাজি তৈরির কোনও কারখানা নেই। বিহার এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে মূলত বাজি পৌঁছয় কোচবিহারে। পুলিশের চোখ ধুলো দিয়ে কখনও বাসে জামাকাপড়ের আড়ালে, কখনও ট্রেনে অন্য বাজির সঙ্গে ওই শব্দবাজি পৌঁছয় জেলায়। যে সময় বাজি নিয়ে হইচই থাকে না, তখনই তা এনে মজুত করা হয়। এ বারে করোনা পরিস্থিতিতে ট্রেন ও বাস পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। তাই এ বারে চোরাপথে তা আনা সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আগে থেকে কত বাজি মজুত করা হয়েছে তা বুঝতে, নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এক চিকিৎসক বলেন, “করোনা রোগীদের কাছে বাজি বিষ। তাই আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে, এ বছর কোনও বাজি পুড়বে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kali Puja Police Crackers
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE