উদ্ধার উটগুলি। নিজস্ব চিত্র
সোনার কেল্লা-এ জটায়ু জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘উটের খাদ্য কী?’’ ফেলুদার জবাবে বলেছিল, ‘‘প্রধানত কাঁটা গাছ।’’ এর পরেই জটায়ুর প্রশ্ন: ‘‘কাঁটা কি ওরা বেছে খায়?’’
এখন এই প্রশ্নেই কিন্তু নাজেহাল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার লোকজনেরা। গুগলে সার্চ চলছে সমানে, উটের খাদ্য কী? কম্পিউটার থেকে চোখ সরাচ্ছেন না আইসি। বিড়বিড় করে আওড়াচ্ছিলেন প্রশ্নটা। তখনই এগিয়ে এলেন সিভিক ভলান্টিয়ার মমতাজ আলি। বললেন, ‘‘স্যর ওরা কুলগাছের পাতা খায়।’’ থানায় কাজে আসা এক ব্যক্তি পাশ থেকে বলেন, ‘‘ওরা বিচুলিও খায়, গাছের পাতাও খায়।’’
খাদ্যতালিকা ঠিক না থাকায় ২৪ ঘণ্টা আগে বাজেয়াপ্ত ১৯টি উট এখনও সেই ভাবে ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে ট্রাকের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিহার সীমানা ঘেঁষা কুশিদা থেকে উটভর্তি ট্রাকটি আটক করে পুলিশ। উটগুলি মালদহ দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল বলেই সন্দেহ পুলিশের। পরে ট্রাকটি হরিশ্চন্দ্রপুরে নিয়ে আসেন পুলিশের গাড়িরই চালক। কিন্তু উট নামানোর চেষ্টা করতেই পুলিশকর্মীরা বুঝে যান, এ অসম্ভব। শুক্রবার বিকেল গড়ালেও উটগুলিকে নামানো সম্ভব হয়নি। ফাঁকা মাঠে সিভিক ভলান্টিয়াররা বসে উট বোঝাই ট্রাক পাহারা দিচ্ছেন! কিন্তু এ ভাবে কতদিন। তাই সকাল থেকে ইন্টারনেট ঘাঁটছেন চলেছেন আইসি সহ বাকি পুলিশকর্মীরা।
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে জীবনে পড়তে হয়নি। এই সমস্যা আমাদেরও যাতে রেহাই মেলে তাই আপাতত ভরসা ইন্টারনেটই।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘উটগুলিকে রাজস্থানে পাঠাতে পারলে তবেই নিশ্চিন্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy