অস্ত্রোপচারে বার করা হয় গুলি।
সকাল থেকে এলাকায় পুলিশের আনাগোনা। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে পঞ্চায়েত অফিস ও লাগোয়া ২০ মিটারে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে ভিড় করেছিলেন তৃণমূলের শতাধিক নেতা-কর্মী। পুলিশের কডাকড়ির মধ্যেই সেখানে যে বোমা, গুলি, বল্লম নিয়ে হামলা হতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। ওই হামলায় আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে খইরুল আলম (২৬) রাতেই মারা যান। তাঁর মাথায় বল্লমের আঘাত, পায়ে গুলি লেগেছিল।
আহতদের মধ্যে আমিরুল হক বলেন, ‘‘পুলিশের সামনে এমন হামলা হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।’’ তিনি জানান, সকাল ১০টা নাগাদ প্রাইমারি স্কুলের কাছেই পার্টি অফিসে বসেছিলেন। হঠাৎ করে হাজারখানেক লোক হাতে বন্দুক, বোমা, লাঠি, বল্লম নিয়ে হামলা চালায়। তাঁর পাশেই বসেছিলেন সরিফুল। ওঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। নৌশাদেরও ডান হাতে গুলি লেগেছে। সাজ্জাদের মাথায় হাঁসুয়ার কোপ লেগেছে।
ইসলামপুর মহকুমা আদালতের পার্শ্ব আইনি শিক্ষক আনারুল হক লাঠির ঘায়ে গুরুতর জখম। তিনি বলেন, ‘‘দাসপাড়া লাগোয়া এলাকার বস্তি, স্থানীয় গেন্দাগছ, গোয়াবাড়ি, মকদমগছ, তিলকগছ, ঠুনঠুনিয়া, ঘিরনিগাঁও এলাকা থেকেও লোক এনেছে হামলা চালিয়েছে ওরা।’’
মহম্মদ খইরুলের বাবা জমিরুদ্দিন বলেন, ‘‘আমার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে বকেয়া টাকা আনতে যাচ্ছিল। ওর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও যোগ নেই। দুষ্কৃতীরা ওর গলায় কোপ মারে।’’
গুলিতে জখম জুনাব আলি বলেন, ‘‘আমি বাড়িতেই ছিলাম। দুষ্কৃতীরা বাইরের গ্রিল ভাঙতে পারেনি। কুড়ুলের কোপে জানলা ভেঙে ৩টি গুলি চালায়। একটি গুলি আমার বাঁ হাতে এসে লাগে। এমন সন্ত্রাস এর আগে দেখিনি।’’ বোমার আঘাতে জখম পেশায় কৃষিজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমার দাদা ওখানেই ছিলেন। বোমার আওয়াজ শুনে দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে পায়ের কাছে বোমা এসে পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy