Advertisement
E-Paper

স্টিয়ারিং হাতেই মৃত্যু পুলকার চালকের

স্কুল ছুটির পরে কিন্ডারগার্টেনের পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিলেন পুলকারের চালক। হাতে স্টিয়ারিং ধরা অবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাস্তার একপাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে লুটিয়ে পড়েন সিটের উপর। এলাকার বাসিন্দারা পড়ুয়াদের নামিয়ে তড়িঘড়ি ওই গাড়িতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন যতীন অধিকারীকে(৩৬)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৭
গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে চালকের দেহ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

গাড়ির মধ্যে পড়ে রয়েছে চালকের দেহ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

স্কুল ছুটির পরে কিন্ডারগার্টেনের পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছিলেন পুলকারের চালক। হাতে স্টিয়ারিং ধরা অবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাস্তার একপাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে লুটিয়ে পড়েন সিটের উপর। এলাকার বাসিন্দারা পড়ুয়াদের নামিয়ে তড়িঘড়ি ওই গাড়িতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন যতীন অধিকারীকে(৩৬)।

মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গাড়িতে সে সময়ে ৮ পড়ুয়া ও স্কুলের এক কর্মী ছিলেন। অসুস্থতা বোধ করতেই চালক গাড়িটিকে রাস্তার একপাশে দাঁড় করানোয় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।

পুলিশ জানিয়েছে, মাসখানেক ধরে ইন্ডোর স্টেডিয়াম লাগোয়া বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পুলকার চালাচ্ছিলেন যতীনবাবু। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে যতীন নানা অসুখে ভুগলেও, চিকিৎসকের কাছে যাননি। কিন্তু নিয়মানুযায়ী, স্কুলের বাস বা পুলকার যাঁরা চালাচ্ছেন তাদের নিয়মিত মেডিক্যাল পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হবে।

পুলকারে যে স্কুল কর্মী ছিলেন সেই চিত্রা রায় বলেন, ‘‘তখন আড়াইটে বাজে। যতীন হঠাৎই রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে জল খেতে চায়। বোতল থেকে একবার জলও খায়। তার পরেই সিটে এলিয়ে পড়ে।’’ চিত্রাদেবীই গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশের বাসিন্দাদের ডাকতে থাকেন। ততক্ষণে স্টিয়ারিং ছেড়ে গাড়ির সামনের সিটে শুয়ে পড়েছেন চালক। তার চোখে মুখে জল ছেটানো হলেও, সংজ্ঞা ফেরেনি। খবর পেয়ে সেখানে যান তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল। কৃষ্ণবাবু শিশুদের গাড়ি থেকে নামিয়ে, পাশের একটি মন্দিরের বারান্দায় নিয়ে যান। এরপর ওই গাড়িতেই চালককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর স্কুল থেকে আরেকটি গাড়ি আনিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

কৃষ্ণবাবু বলেন, ‘‘শুনেছি গাড়ি চালক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। এ সব আগে থেকে খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’’ মৃতের মা রেনুবালা দেবী বলেন, ‘‘একবার তো ওর বুকে জল জমেছিল। ক’দিন আগে আরও কী রোগ হয়েছিল। সে সব কিছুর পরীক্ষা হয়নি।’’ স্কুলের পরিচালন কমিটির তরফে দেবপ্রতিম সেন বলেন, ‘‘মাসখানেক আগে যতীনকে গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কোনও বিষয় জানা ছিল না।’’

Siliguri Pool Car Driver Died
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy