মল্লিকা মজুমদারকে মরণোত্তর নাগরিক সম্মান দিল শিলিগুড়ি পুরসভা।
এদিন মল্লিকার বাড়ির সামনে পুরসভার পক্ষ থেকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানেই মল্লিকার মা সুলতা মজুমদারের হাতে সম্মাননা পত্র এবং নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। মঞ্চ থেকেই মল্লিকার বাড়ির সামনের রাস্তাটির নামকরণ মল্লিকা মজুমদার সরণি করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন অশোক। রাস্তার শুরুতে নামকরণ সম্বলিত বোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘‘মল্লিকার হতদরিদ্র পরিবার যে সাহসি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে তা অনেক শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিরাও নিতে পারেন না। আমরা মল্লিকার পরিবারের পাশে আছি।’’
মল্লিকার পরিবারের সদস্যরা এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় মানুষজন এবং একাধিক কাউন্সিলারও পুরসভার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মল্লিকার ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাও জানানো হয়। সুলতা দেবী বলেন, ‘‘পুরসভা সিদ্ধান্তে আমরা খুবই খুশি। অন্যের জীবন বাঁচিয়ে আমাদের মেয়ে যেমন বেঁচে থাকবে তেমনি পুরসভার সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সবাই মল্লিকার নাম স্মরণ করবে।’’ যে রাস্তাটির নামকরণ মল্লিকার নামে করা হয়েছে সেই রাস্তাটি ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল হাসপাতাল মোড় থেকে ঘুরে বর্ধমান রোডে সংযুক্ত হয়েছে।
নামকরণ: মল্লিকা মজুমদার সরণি। নিজস্ব চিত্র
৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গোলাপ রায় বলেন, ‘‘আমরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করব।’’ মঞ্চে উপস্থিত মল্লিকার প্রতিবেশিদের অনেককেই এদিন কাঁদতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ব্রেন ডেথের পর ১৭ অগস্ট মল্লিকার অঙ্গদান করা হয়।