Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
মালদহ মেডিক্যাল

দু’ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি

ঝড়-বৃষ্টিতে ইলেকট্রিক তারে গাছের ডাল পড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বিকল ছিল হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটরটিও। তাই দুর্বিসহ দু’টি ঘণ্টা কাটাতে হল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের। একইসঙ্গে সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদেরও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

বিদ্যুৎ নেই। রোগীর পরিজনদের ভরসা হাতপাখাই। —নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যুৎ নেই। রোগীর পরিজনদের ভরসা হাতপাখাই। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০২:০২
Share: Save:

ঝড়-বৃষ্টিতে ইলেকট্রিক তারে গাছের ডাল পড়ে প্রায় দু’ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বিকল ছিল হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটরটিও। তাই দুর্বিসহ দু’টি ঘণ্টা কাটাতে হল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের। একইসঙ্গে সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদেরও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর বিকল হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্সিং হস্টেলের সামনে ইলেকট্রিক তারে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় তারটি ছিঁড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে হাসপাতাল চত্বর। মিনিট দশেকের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জেনারেটারটিও বিকল হয়ে যায়। অভিযোগ, জেনারেটর বিকল হয়ে গেলেও তা মেরামতে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও তৎপরতা দেখাননি। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে তিনটি জেনারেটর রয়েছে। একটি নিওনেটাল বিভাগের জন্য এবং একটি এসএনসি, সিসিইউ এর জন্য। আর একটি রয়েছে ৬৫ কিলো ভল্টের পুরো হাসপাতালের জন্য। এ দিন ওই জেনারেটরটি বিকল হয়ে যায়। ফলে মেডিক্যাল কলেজের মহিলা ও পুরুষদের মেডিক্যাল ওর্য়াড, সার্জিক্যাল ওর্য়াড,একটি অপারেশন থিয়েটার, ও জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের দক্ষিণ মালদহ ডিভিশনের ডিভিশন্যাল ম্যানেজার শৈবাল মজুমদার বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে সমস্যা হয়েছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করেছি।’’

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় অপারেশন থিয়েটারও বন্ধ রাখতে বাধ্য হন তাঁরা। বেলা ১টা নাগাদ দু’জন রোগীর চোখ অপারেশনের কথা ছিল। এ দিন তা করা হয়নি। কালিয়াচকের এক বাসিন্দা সাফিকুল শেখ বলেন, ‘‘আমার মায়ের চোখ অপারেশন ছিল। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় এদিন হয়নি। পরের দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদেরকে ঘুরে যেতে হল। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের পরিজনদের। ইংরেজবাজারের কোতুয়ালির বাসিন্দা মল্লিকা দাস বলেন, ‘‘আমার বাবার হাতে যন্ত্রণা থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় দু’ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে খুবই সমস্যা হয়েছে তাঁর। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করেনি।’’

কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসপাতালের একাংশ চিকিৎসক ও নার্সেরাও। তাঁরা বলেন, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় আমাদের।এতো বড়ো হাসপাতালে যেখানে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী ভর্তি থাকে সেই হাসপাতালে বাড়তি জেনারেটার রাখা হচ্ছে না। এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহঅধ্যক্ষ ও সুপার মহম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ‘‘জেনারেটারটি হঠাৎ করে বিকল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। জেনারেটারটি মেরামত করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE