পুজো কমিটিগুলিকে এ বার থেকে অনলাইনে আবেদন করে পুজোর অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়ে দিল শিলিগুড়ি পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান রোডের একটি ভবনে শিলিগুড়ি থানা এলাকার ১০৮টি পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ অফিসারেরা। সেখানে কমিটিগুলিকে জানানো হয়েছে, সরকার রাজ্যের সমস্ত কমিশনারেট এলাকায় অনলাইনে পুজোর অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে। ‘আসান’ নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিলিগুড়িতে শুরু হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা কমিশনারেটের সমস্ত পুজো কমিটিগুলিতে নিয়ে প্রস্তুতির বৈঠক ডেকেছেন। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট, আবেদনের পদ্ধতি সমস্ত কিছু ওই বৈঠকে জানানো হবে। এ দিন শহরের মধ্যের পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে মূলত বৈঠক হয়।
এডিসিপি (ইস্ট) মৃণাল মজুমদার বলেন, ‘‘এক জানলা পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন দফতরের ‘এনওসি’ নিয়ে তা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সমস্ত পদ্ধতি আমরা দ্রুত সকলকে জানিয়ে দেব। এতে আর লাইন দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। পার্কিং, ঢোকা-বার হওয়ার পথ, ব্যারিকেড, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখার কথা ক্লাবগুলিকে বলা হয়েছে।’’ জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগ এলে কড়া ব্যবস্থার কথাও ক্লাব কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন এডিসিপি।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে এ বার ৪৩৮টি নথিবদ্ধ পুজো হচ্ছে। এর বাইরে অন্তত আরও ৩০০টি বাড়ি এবং ছোট মাপের পুজো হবে। প্রতিবার সকল পুজো কমিটিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, দমকল, বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি, পুরসভা, এসজেডিএ, মহকুমা শাসক, পুলিশের অনুমতি নিয়ে পুজো করতে হয়। এক জানলা পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট দিনগুলিতে সমস্ত অনুমতি নিয়ে তা ফের প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হয়। যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
অনেক সময় অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘন্টার পর ঘন্টা পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ বার সেই পদ্ধতি সরলীকরণ করা হচ্ছে। সময় কমানোর জন্য অনুমতি অনলাইনে দেওয়া হবে। তাতে সকলেরই সুবিধে হবে। তবে পুজো কমিটির অনেকের বক্তব্য, সার্ভার যাতে ঠিকঠাক কাজ করে তা যেন দেখা হয়।
বৈঠকে শিলিগুড়ি থানার আইসি দেবাশিস বসু জানিয়েছেন, সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফের স্লোগান সম্বলিত প্রচার পুজো মণ্ড়পগুলিতে রাখতে হবে। মণ্ডপের সামনে পোক্ত ব্যারিকেড, সিড়ি, গেটের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। তেমনিই, ১১ অক্টোবর দশমীর পর ১২ অক্টোবর মহরমও রয়েছে। সেদিন যাতে দুই সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান সুষ্টুভাবে হয় তা দেখতে সকলেই অনুরোধ করা হচ্ছে। মহিলাদের ২৫টি পুজোকে আলাদাভাবে পুরস্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
পুজোয় রাত ১১টার পর অটো, টোটো চালানোর ছাড়পত্র, ভাসানের দিনগুলিতে মূল রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা, পুজো ম্যাপের সব পুজোকে রাখার আবেদন, বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদা এ জায়গা থেকে বিতরণ করানোর আবেদন ক্লাব কর্তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।