Advertisement
E-Paper

জেল বদলাল, অনশনে রাজা

দমদম থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে আমরন অনশনে বসলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত রাজা সরখেল৷

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১০
 রাজা সরখেল।-ফাইল চিত্র।

রাজা সরখেল।-ফাইল চিত্র।

দমদম থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে আমরন অনশনে বসলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত রাজা সরখেল৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলের ভিতরে অনশন শুরু করেছেন তিনি। কলকাতার যাদবপুর থেকে ২০০৯ সালে গ্রেফতার করা হয় রাজাকে৷ ২০১৫ সালের মে-তে রাষ্ট্রদোহিতা ও বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন ইউএপিএ-তে দোষী সাব্যস্ত জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাত, সুগেন মুর্মু, সুখশান্তি বাসকে ও শম্ভু সোরেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুরের আদলত৷ রাষ্ট্রদোহীতায় দোষী সাব্যস্ত রাজা ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়েরও একই সাজা হয়৷ দিন কয়েক আগে জলপাইগুড়িতে এসে রাজার স্ত্রী শুক্লাদেবী অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারি অন্যায় ভাবে তাঁর স্বামীকে দমদম থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়েছে৷ এমনকি, জলপাইগুড়িতে আনার সময় দমদম জেলে তাঁর দু’টি খাতা লোপাট করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি৷ যে দু’টি খাতায় আট বছরের অনেক কথা লিপিবদ্ধ করেন রাজা৷ শুক্লাদেবীর অভিযোগ ছিল, জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে নিয়ে আসার পর রাজাকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের মধ্যে কম্বল মশারি ছাড়া মাটিতে শুতে দেওয়া হয়েছিল৷

এই সব ঘটনার প্রতিবাদেই রাজা অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির লোকেরা। এ দিন সকাল থেকে অনশন শুরু করেন তিনি। যদিও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলের বিরুদ্ধে কোনও অভাব অভিযোগ রাজার নেই। শুধু দমদম থেকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদেই তাঁর এই অনশন। সংশোধনাগারের সুপার শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতার কাছাকাছি কোনও জেলে স্থানান্তরিত করার দাবিতে রাজা সরখেল এদিন অনশন শুরু করেছেন।’’

যুবকের দেহ উদ্ধার। অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়ির ডাউকিমারি এলাকায়। এ দিন সকালে ডাউকিমারির হরিণখাওয়া এলাকায় রাস্তার পাশে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় দেহটি দেখতে পান গ্রামবাসীরা। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। যুবকের মুখেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা থেকে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত, এটা খুনের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েই চলছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত যুবক স্থানীয় বাসিন্দা নন। তাঁর পরিচয় খোঁজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে বা কারা তাঁকে খুন করল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Raja sarkhel Hunger Strike Jail shifts
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy