আপ্যায়ণ: কার্শিয়াঙে রজনীকান্তকে বরণ। নিজস্ব চিত্র
রাতে দক্ষিণ ভারতীয় খাবারই খেয়েছেন। পরিমাণে যৎসামান্য। বৃহস্পতিবার বেশ ভোরেই উঠেছেন দক্ষিণী চিত্রতারকা রজনীকান্ত। সকালে কার্শিয়াং সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের হোটেলেই একটু পায়চারি করেছেন। এর পরেই তৈরি হয়েছেন শুটিং স্পটে যাওয়ার জন্য যাওয়ার আগে দার্জিলিং চা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। হালকা জলখাবার খেয়ে সাড়ে ৭টায় ডাউহিল রওনা দেন তিনি। হোটেলের একটি সূত্রের দাবি, দার্জিলিং চায়ের প্রশংসা করেছেন ‘থালাইভা’।
দক্ষিণ ভারতে যখন তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ঘিরে উচ্ছ্বাস চলছে, রজনীকান্ত নিজের কাজ করে চলেছেন এক মনে। বেলা ৯টার মধ্যেই নতুন ছবির চিত্রগ্রহণ শুরু হয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি নামায় বাইরের চিত্রগ্রহণে কিছুটা সমস্যা হয় বলে সূত্রের খবর। তবে এদিন বেশির ভাগ সময়েই ডাউহিলের রেঞ্জার্স ট্রেনিং কলেজের অন্দরেই চিত্রগ্রহণ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। সেখানে ‘থালাইভা’কে দেখতে ভিড়ও জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, পুলিশ বিশাল ব্যারিকেড করে পুরো এলাকা প্রায় ১ কিলোমিটার আগেই ঘিরে রেখেছিল। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যাতায়াতের পথে পাহাড়ি পথে কৌতুহলী ‘ফ্যান’দের উপচে পড়া ভিড় দেখে গাড়ির ভিতর থেকেই হাত দেখান থালাইভা।
পুলিশ জানিয়েছে, ছবির চিত্রগ্রহণের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ ভারত থেকেই বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী আনা হয়েছে। তাঁরাই সব সময় ‘থালাইভা’কে ঘিরে রাখছেন। রেঞ্জার কলেজের বাইরে ও হোটেলের আশেপাশের জায়গায় দার্জিলিং পুলিশের বাছাই অফিসার-কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। আজ, শুক্রবারও কার্শিয়াঙেই চিত্রগ্রহণ হবে।
এদিন দার্জিলিঙে মাউন্ট হেরমোন স্কুলে চিত্রগ্রহণের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সাধারণত, ওই স্কুল দেখতে পর্যটকদের ভিড় তেমন হয় না। কিন্তু, রজনীকান্তের সিনেমার শুটিং সেখানে হবে জানতে পেরে অনেক পর্যটকই একবার স্কুলটি দেখতে ভিড় করছেন। যে এলাকায় ওই স্কুল, সেই সিংমারিতে গত বছর জুন মাসে পুলিশের পক্ষেও ঢোকা ছিল কষ্টসাধ্য। কারণ, গোটা জুন মাস ধরেই ওই এলাকা ছিল অগ্নিগর্ভ। বর্তমানে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা পাহাড়ের ছবি যেন সে সব দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy