Advertisement
E-Paper

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় এখনও অধরা অভিযুক্ত

সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরেও অভিযুক্ত অধরা। এই নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৫

সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রায় ২৪ ঘন্টা পরেও অভিযুক্ত অধরা। এই নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে বাসিন্দারা সকলেই অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

রবিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ টিউশন পড়ে ফেরার পথে শামুকতলা থানার খাতোপাড়া গ্রামে আক্রান্ত হয় ওই কিশোরী। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই স্কুল পড়ুয়াকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে যশোডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক।

ঘটনার খবর পেয়ে শামুকতলা থানার ওসি এদিন রাতেই ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা শিলিগুড়িতে রিকশা চালান। মা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তার পর থেকে খাতোপাড়া গ্রামে দাদুর কাছে থেকেই পড়াশোনা করত সে। এদিন সন্ধ্যায় টিউশন পড়ে গদাধর নদীর ধার দিয়ে ফেরার সময় তার মুখ চাপা দিয়ে নদীর পাড়ে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবক। বাধা দিয়ে চিৎকার শুরু করলে ওই ছাত্রীর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে ধাক্কা দিয়ে নদীর জলে ফেলে দেয়। ছাত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশের কাছে ওই ছাত্রী প্রতিবেশী এক যুবকের নাম জানিয়েছে। সোমবার বিকালে পেশায় রিক্সা চালক ওই ছাত্রীর দাদু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে শামুকতলা থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দ্রুত অভিযুক্ত যুবকের গ্রেফতারের দাবি জানান।থানায় দাঁড়িয়ে ওই ছাত্রীর দাদু বলেন, ‘‘রিক্সা চালিয়ে খাই। আমার নাতনির উপর যে এমন অত্যাচার চালিয়েছে তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

এলাকার তৃণমূল দলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু রায় জানান, “এ ঘটনা মানা যায় না। ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে আমরা আছি। দ্রুত অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি”। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত যুবক দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। এখন দিনমজুরির কাজ করে। তার বাবা ভ্যান রিকশা চালক।

শামুকতলা থানার ওসি পঙ্কজ থাপা বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আনছি না।” আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার রেজাউল মিনহাজ জানিয়েছেন, “ওই ছাত্রীর গলায় ক্ষত রয়েছে। তবে তাঁর শারিরীক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’’

repe samuktala police trinamool
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy