খোদ জেলা পুলিশ বলছে, বালুরঘাটে বাইরে থেকে কোনও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ঢোকে না। মানতে নারাজ বালুরঘাটের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বিহারের পূর্ণিয়া মোড় হয়ে ডালখোলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা থেকে চকোলেট বোমা, বাক্স বোমার মতো শব্দবাজি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর শহরে ঢোকে।
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সেই সব নিষিদ্ধ শব্দবাজি শহরের বাজারে আড়ালে আবডালে বিক্রি হয়। বালুরঘাটবাসীর আরও অভিযোগ, প্রতিবারই কালীপুজোয় দেদার শব্দবাজি ফাটে। এত শব্দবাজি বাইরে থেকে আনা সম্ভব নয়। তাই সবটাই বাইরে থেকে আসে না।
লাইসেন্সপ্রাপ্তদের পাশাপাশি ফুটপাতের লাইসেন্সহীন বাজি বিক্রেতারা আড়ালে ওই শব্দবাজি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। তবে তাদের কাছে এসব কোনও খবর নেই বলে দাবি বালুরঘাট থানার। শুক্রবার থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘বাইরে থেকে শব্দবাজি ঢুকছে বলে কোনও খবর নেই। তবে শহরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত শব্দবাজি বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি, নজরদারিও চলছে। শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পুলিশ যা-ই বলুক, স্থানীয় শহরবাসীর অনেকেরই অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্যরকম। তাঁদের বক্তব্য, বালুরঘাটে দীপাবলির রাতে আতসবাজির সঙ্গে দেদার শব্দবাজি ফাটে প্রতি বছর। সেগুলো স্থানীয় বাজার থেকেই আসছে। ক্রেতা বুঝে ওই শব্দবাজি বিক্রি করেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা দোকানে প্রকাশ্যে আতসবাজি সাজিয়ে রাখেন। শব্দবাজি থাকে একটু আড়ালে বা দূরে। ইচ্ছুক ক্রেতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে আড়াল থেকে শব্দবাজি বের করে এনে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। ঝুঁকি থাকলেও ওই সমস্ত শব্দবাজি বিক্রি করে লাভ বেশি হয় বলেই দীপাবলিতে অনেকের কাছে সহজে পৌঁছে যায় ওই শব্দবাজি। রাতে দেদার ফাটে চকলেট ও বাক্স বোমা।
বাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে এবারে অবশ্য শহরে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। শনিবার বালুরঘাটের ১৬টি কালীপুজো আয়োজক প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ থানায় বৈঠক করে শব্দবাজি নিয়ে সতর্ক করেছে। ডেপুটি পুলিশ সুপার ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘আতসবাজি ফাটানো নিয়ে শহরে নজরদারি থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy