Advertisement
০৩ মে ২০২৪

সরস্বতী মহাভাগে...

কয়েক দিন আগেই এক দল অন্য দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। নিজেদের পালে হাওয়া টানতে উঠেছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এমনকি সাড়ে তিন দশকের ঐতিহ্য ভেঙে প্রথমবার ভোট পর্ব মেটার পরে কলেজে মারপিট হয়।

হাতেখড়ি বালুরঘাটে।—নিজস্ব চিত্র

হাতেখড়ি বালুরঘাটে।—নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৭
Share: Save:

পুজো মিলেমিশে

কয়েক দিন আগেই এক দল অন্য দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। নিজেদের পালে হাওয়া টানতে উঠেছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এমনকি সাড়ে তিন দশকের ঐতিহ্য ভেঙে প্রথমবার ভোট পর্ব মেটার পরে কলেজে মারপিট হয়। উত্তেজনা সামলাতে পুলিশকেও যেতে হয়। ছাত্রী সংসদ গঠনের পর পাল্টা সংসদ গঠনের ঘোষণা নিয়েও কম শোরগোল হয়নি। কোচবিহারের সেই ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজেই বুধবার এক সঙ্গে সরস্বতী বন্দনায় মাতলেন যুযুধান শিবিরের ছাত্রীরা। পুজোর আয়োজন থেকে তদারকি, অঞ্জলি থেকে প্রসাদ বিলি সবেতেই হাতে হাত মেলালেন তাঁরা। যা দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনেকেই বলছিলেন, ‘‘আমরা তো এমনটাই চাই। পুরোপুরি একতার আবহ।’’ ওই কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জরী বিশ্বাস বলেন, “অন্য বারের মত এ বারও সবাই মিলে মিশে পুজো সামিল হয়েছে।” কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ জন্য অবশ্য হোমওয়ার্কও সারতে হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেই সমস্ত ছাত্রীদের নিয়ে পুজো প্রস্তুতির বৈঠক করেন।

মায়ের সঙ্গে নিজস্বী জলপাইগুড়িতে। — নিজস্ব চিত্র

দ্বন্দ্বে বন্ধ পুজো

দু’দল ছাত্রের দ্বন্দ্বে এ বার ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজো করার অনুমতি দিল না গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় বাইরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঝুঁকি নিয়েই পৃথক ভাবে পুজো করল দুই গোষ্ঠী। পুজো ঘিরে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের পাহারাতেই শেষ পর্যন্ত পুজো করলেন দুই গোষ্ঠীর নেতা নেত্রীরা। দু’দলই নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য বলে দাবি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুজো না হওয়ায় হতাশ পড়ুয়ারা। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ছাত্র সংসদ নেই। তাই চলতি বছর পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ একাধিক ছাত্র গোষ্ঠী ক্যাম্পাসে পুজো করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিল। গোলমাল এড়াতে আমরা কাউকেই পুজো করার অনুমতি দিইনি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘এটা দলের বিষয় নয়। পুজো কেন হয়নি তা আমি বলতে পারব না।’’

দেওয়াল পত্রিকার ৩০

পত্রিকা উদ্বোধনে। — নিজস্ব চিত্র

পথ চলা শুরু সেই ১৯৮৭ সালে। শুরু থেকে প্রায় আড়াই দশক হাতে লিখেই বিদ্যাদেবীর আরাধনার দিন প্রকাশ পেত দেওয়াল পত্রিকা। কবিতা, গল্পের পাশাপাশি থাকত ছবিও। এখন কম্পিউটার প্রিন্টে ছাপা লেখা। সে সময় যাঁদের উদ্যোগে মূলত মালদহ জেলাশাসকের দফতরের কর্মীদের সাহিত্যচর্চা মানুষের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাঁদের অনেকেই এখন অবসর নিয়েছেন। কিন্তু ৩০ বছরে অবসর নেয়নি সেই প্রয়াস। বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিন ফের প্রকাশ পেল মালদহ কালেক্টরেট এমপ্লয়িজ রিক্রিয়েশন ক্লাবের দেওয়াল পত্রিকা নব এষণা। পত্রিকাটি থাকবে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার মুখেই।

নজর গোলাপে

কোচবিহার রাজবাড়িতে ফুল তুলতে নিষাধাজ্ঞা। — নিজস্ব চিত্র

তেমন তেমন দিনে গোলাপের আকাল হয়। তাই হাত বাড়ানো হত হাতের কাছের কোচবিহার রাজবাড়ির উদ্যানের দিকে। ছিঁড়ে নেওয়া হত তাজা গোলাপ কুঁড়ি, ফুল। তবে এ বারে রাজবাড়িতে কড়়া নজরদারি রাখা হয়েছে। কোচবিহার রাজবাড়ি উদ্যানের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার কর্তা আবদুল সরতাজ বলেন, “এত লোকের আনাগোনার সুযোগে কেউ যাতে একটিও ফুলে হাত দিতে না পারে সেজন্য বিশেষ সতর্কতা নিতে হয়েছে। উদ্যান পরিচর্চার বদলে ২০ জন কর্মীর সবাইকে পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়।” রাজবাড়ি সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার রাজবাড়ির সামনেই বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে নজরকাড়া উদ্যান। জলাশয়। তারমধ্যে ছয়টি গোলাপের ‘বেড’ বেশ আকর্ষণীয়। রঙবেরংয়ের বাহারি সদ্য ফোটা গোলাপ থেকে কুঁড়ি কী নেই, সেখানে। লাল, হলুদ, গোলাপি, সাদা সবেরই দারুণ আকর্ষণ। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সরস্বতী পুজোর মতো বিশেষ দিন দর্শনার্থীদের বড় অংশই প্রেমিক-প্রেমিকা। নজরদারির দায়িত্বে থাকা সহিদুল রহমান বলেন, “দিনভর ওই একটাই কাজ ছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Saraswati Puja Celebration
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE