Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর জন্য ভাঙা হল স্কুলের রান্নাঘর, শৌচাগার, ক্ষোভ

কালীপুজোর রাতভর তারস্বরে বক্স বাজানোর অভিযোগ আগেই উঠেছে৷ আর এ বার সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে পুজো মণ্ডপ তৈরির জন্য একটি স্কুলের শৌচাগার ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩৮
Share: Save:

কালীপুজোর রাতভর তারস্বরে বক্স বাজানোর অভিযোগ আগেই উঠেছে৷ আর এ বার সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে পুজো মণ্ডপ তৈরির জন্য একটি স্কুলের শৌচাগার ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল৷ শুধু তাই নয়, মণ্ডপ ও অনুষ্ঠানের মঞ্চ খোলা না হওয়ায় এ দিন স্কুলটিতে পড়াশোনা হয়নি বলেও অভিযোগ৷

গোটা ঘটনাটিই জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা স্কুলের৷ একই ক্যাম্পাসে স্কুলটি প্রাথমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক – দু’ভাগে বিভক্ত৷ এই স্কুলের মাঠেই কালীপুজো করে আসে যুবমঞ্চ৷ এ বারও তাদের মণ্ডপ ও অনুষ্ঠানের মঞ্চ সেখানেই হয়েছিল৷ কিন্তু পুজোর ছুটির পর এদিন স্কুল খুলতেই চোখ কপালে ঠেকে যায় শিক্ষক ও ছাত্রদের৷ দেখা যায় মণ্ডপের জন্য সোনাউল্লা প্রাথমিক স্কুলের তিনটি শৌচাগার ভেঙে ফেলা হয়েছে৷ ভেঙে ফেলা হয়েছে মিড ডে মিলের রান্নাঘরও৷

তবে ছাত্রদের জন্য অবাক হওয়ার আরো ঘটনাও অপেক্ষা করছিল৷ গরমের ছুটির পর এ দিন স্কুল খুললেও মাঠে রয়ে গিয়েছে মণ্ডপ৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চটিও পুরো খোলা হয়নি৷ অনেক ক্লাসরুমেই পুজোয় ব্যবহার হওয়া জিনিস ডাঁই করা রয়েছে৷ ফলে নাম ডেকেই এ দিনের মত প্রায় সব ক্লাসেরই ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ ক্লাসরুমে জিনিস থাকায় কোনও কোনও ক্লাসের নামডাকা তো মাঠের মধ্যেই করতে হয় বলেও অভিযোগ ৷

বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও, শিক্ষক-ছাত্র অনেকের মধ্যেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের কথায়, পুজো করার জন্য ক্লাবকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ১ সেপ্টেম্বরই তাদের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল৷ অথচ, দেখা গেল তা তো হলই না উল্টে প্রাথমিক স্কুলের শৌচাগার ও রান্নাঘর ভেঙে ফেলা হল আরেক শিক্ষকের কথায়, ‘‘এতদিন ধরে শিক্ষকতা করছি, কিন্তু পুজোর জন্য স্কুলের কোনও অংশ ভেঙে ফেলা হবে তা কখনও দেখিনি৷’’

তবে যাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ, সেই যুব মঞ্চের সম্পাদক খোদ জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু নিজেই৷ তাঁর অবশ্য দাবি, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই স্কুলের শৌচাগার ও মিড-ডে মিলের রান্নাঘর ভাঙা হয়েছে৷ ক্লাব নিজের খরচায় সেগুলি আরও ভাল করে তৈরি করে দেবে৷ মোহনবাবু বলেন, ‘‘এর আগেও ক্লাব স্কুলের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে৷ খুব দ্রুতই ভাঙা জিনিসগুলি গড়ে দেবে৷ আর মাঠে প্যান্ডেল ও কয়েকটি ক্লাসরুমে জিনিস ভরে থাকা নিয়ে তার সাফাই, সেগুলির সাফাই চলছে৷ খুব দ্রুতই সেই কাজও শেষ হবে৷’’

এ দিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায় বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি৷ তবে বিষয়টি আমি খোজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

puja pandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE