মিটিং-মিছিল-অনশন সবই হচ্ছে। কিন্তু নেতাদের দেখা নেই। তাই আচমকা কেমন যেন উদাসী আবহাওয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার একাধিক অফিসে। মোর্চার অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ। কথাবার্তাতেও একটা ‘কী হবে’ গোছের ভাবসাব। সোমবার সকাল থেকে রাত অবধি মোর্চার একাধিক নেতা-কর্মীদের কথাবার্তায় এমনই মনে হচ্ছে সাধারণ পাহাড়বাসীদের। শুধু তা-ই নয়, নেতারা আইনি বেড়াজালে পড়ে ৭-১০ দিন আড়ালে থাকলে কী হবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা কম নেই মোর্চা শিবিরে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পুলিশের উদ্বেগও বেড়েছে। সোমবার রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ দিনভর মিরিক ও লাগোয়া দার্জিলিং এলাকায় ঘুরেছেন। আইন ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ যাতে রুখে দাঁড়ায়, সে জন্য অফিসার-পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। তবে মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় চার্জশিটপ্রাপ্ত নেতারা কে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশও ধাঁধায়।
যেমন, মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। তাঁকে শুক্রবার অবধি পাতলেবাসে দেখেছেন কর্মীরা। কিন্তু শনিবার থেকে তাঁর দেখা নেই। দলের একাংশ বলছে, তিনি দার্জিলিং-সিকিমের সংযোগস্থলের কোথাও রয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, তিনি রয়েছেন কার্শিয়াঙের কাছাকাছি। রোশন গিরি রয়েছেন দিল্লিতে। কিন্তু, বিনয় তামাঙ্গেরও দেখা নেই।