Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফুটপাথ ‘দখল’ করে দোকান

রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের সামনে ফুটপাথ দখল করে দোকান তৈরির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রথমে তিন ব্যবসায়ী মিশনের সামনের রাস্তায় দোকান ঘর তৈরি করতে গেলে মিশন কর্তৃপক্ষ বাধা দেন।

এই দোকান নিয়েই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

এই দোকান নিয়েই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০১:৩৫
Share: Save:

রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের সামনে ফুটপাথ দখল করে দোকান তৈরির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রথমে তিন ব্যবসায়ী মিশনের সামনের রাস্তায় দোকান ঘর তৈরি করতে গেলে মিশন কর্তৃপক্ষ বাধা দেন। বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। কিছু পরে ঘটনাস্থলে মন্ত্রী নিজে চলে যান বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তিনি গিয়ে ওই জায়গাতেই দোকান হবে বলে নির্দেশ দেন। তবে তিন মাস পরে সে দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। মন্ত্রী অবশ্য মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।

মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ওই দোকানগুলি মাস তিনেকের জন্য করা হচ্ছে। হাসপাতাল তৈরির কাজের সুবিধের জন্য তিনটি দোকান আপাতত সরানো হয়েছে। এই বিষয়ে মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জোর করে দোকান করার অভিযোগ সঠিক নয়।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, মিশনের এক পাশে অন্যান্য দোকানের সঙ্গে ওই দোকান তিনটি ছিল। ওই এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের সামগ্রী রাখার জন্য পুরসভা তিন মাসের জন্য মিশনের স্কুলের গেটের পাশে তিনটি দোকান সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিকে, মূল গেটের সামনে দোকান বসলে যাতায়াতের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে মিশন কর্তৃপক্ষ। দোকান না সরালে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন মিশন কর্তৃপক্ষ।

এ দিন মন্ত্রী নিজে এসে মিশনের আপত্তি উড়িয়ে ওই এলাকাতেই দোকান হবে বলে নির্দেশ দেওয়ায় অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। স্বামী তাপহরানন্দের কথায়, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবুর নির্দেশে ওখানে দোকান হচ্ছে। জোর করে কেউ দোকান করলে আমরা বাধা দেব। জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেব। মন্ত্রী তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যানকেও আমরা স্মারকলিপি দেব। তাতেও যদি কাজ না হয় তা হলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব।’’ যে দোকানগুলি নিয়ে সমস্যা, তার একটির মালিক রতন ভকত বলেন, ‘‘মিশনের মহারাজ বাধা দিলে আমরা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবুকে জানাই। উনি আমাদের দোকান করতে বলেছেন। তাই আমরা এখানে দোকান করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE