জোন স্তরে সেরা হয়ে রাজ্য লিগের দ্বিতীয় পযার্য়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু জোনের খেলার পর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ায় অনুশীলনের তাল কেটেছে বলে মনে করছেন কোচ থেকে ক্লাব কর্তা সকলেই। এ দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচি না পাওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়দের অনুশীলনে নামাতে পারছেন না বলে আক্ষেপ করেছেন কোচ জয়ব্রত ঘোষ। দলের ছেলেরা নিজেদের মতো করেই আপাতত অনুশীলন সারছেন বলে তিনি জানান। মহানন্দাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে ক্রীড়াপ্রেমীদের। ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে আই লিগের ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বির তোড়জোড় চলছে। এরই মধ্যে মহানন্দার সাফল্য শিলিগুড়ি ফুটবলে টাটকা বাতাস বয়ে এনেছে। এখন মহানন্দা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হবে বলে স্বপ্ন দেখছেন শহরবাসী।
কোচ জয়ব্রতবাবু বলেন, ‘‘দলের প্রত্যেকেই কয়েক মাস লাগাতার ভাল ফুটবল খেলেছেন। এই বিরতিতে তাঁরা আরও বিশ্রাম পাবেন।’’ জয়ের মধ্যে থাকা দলের মোটিভেশনের অভাব হয় না বলে মনে করেছেন কোচ। ক্লাবের সচিব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও পরের রাউন্ডে দলের ভাল ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানান, আইএফএ শিল্ড শেষ হলেই মহানন্দাকে সেমিফাইনালে খেলতে হবে কল্যাণী বা বারাসতে। তাদের খেলতে হবে গ্রুপ-জি’র সেরা ক্লাবের সঙ্গে। সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘মার্চেই স্থানীয় লিগের দলবদল রয়েছে। আমরা আগের বারের দলই ধরে রাখছি। দু-জন নতুন খেলোয়াড় নেওয়া হবে।’’ দলের প্রথম ২০ মোটামুটি একই থাকছে বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষও শিলিগুড়ি দলের রাজ্য সেরা হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘‘ক্রীড়া পরিষদ কর্তা হিসেবে নয়, ফুটবলপ্রেমী হিসেবে চাইছি মহানন্দা সেরা হোক।’’ তাতে শহরের ফুটবলাররা আরও বেশি উৎসাহে পরের মরসুমে মাঠে নামবে বলে তাঁর মত।
স্পনসরের অভাবে দু’বছর বন্ধ থাকার পরে ২৭ ডিসেম্ব থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য ক্লাব লিগ। প্রতিটি জেলার লিগ সেরা ক্লাবগুলিকে নিয়ে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে, শিলিগুড়ির মহানন্দা স্পোর্টিং ক্লাব এবং দার্জিলিংয়ের টিনস ফুটবল অ্যাকাডেমির খেলা দিয়ে।। আইএফএ পরিচালিত এই টুর্নামেন্টের জেলা লিগে নথিভুক্ত খেলোয়াড়রাই খেলছেন। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানান এক একটি এলাকা বা জোনে ভাগ করে পাঁচটি করে জেলাকে এক একটি জোনে রাখা হয়েছিল। প্রতিটি জোনের দলকে তার গ্রুপের বাকি দলগুলির বিরুদ্ধে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলতে হয়।
লিগ পর্যায়ে দার্জিলিংয়ের টিনস ফুটবল অ্যাকাডেমি, উত্তর দিনাজপুরের স্টেট আর্মস পুলিশ স্পোর্টস ক্লাব চতুর্থ ব্যাটেলিয়ন, কোচবিহারের হরিণচওড়া প্রভাতী ক্লাব ও জলপাইগুড়ির রায়কতপাড়া স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক গ্রুপে ছিল শিলিগুড়ির দলটি। একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নিজেদের হোম ম্যাচে রায়কতপাড়ার দলটির সঙ্গে হারা ছাড়া আর একটিও ম্যাচে হারেনি মহানন্দা। ফলে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করে নেন শিলিগুড়ির ছেলেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy