E-Paper

বিকল সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রশ্নে সুরক্ষা

শহরের সুরক্ষা, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে নজর-ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর দিকে পুলিশের তরফে বিশেষ নজর দেওয়া শুরু হয় বছর চারেক আগে থেকে।

শুভঙ্কর পাল

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:০৬
বিকল সিসিটিভি ক্যামেরা।

বিকল সিসিটিভি ক্যামেরা। নিজস্ব চিত্র।

শহরের সুরক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় লাগানো হয়েছিল কয়েকশো সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ, ওই সব ক্যামেরার অধিকাংশই এখন অকেজো। তা নিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ক্যামেরাগুলি বিকল থাকা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন। শহরে আরও নজরদারি ক্যামেরা লাগানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন মেয়র।

শহরের সুরক্ষা, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে নজর-ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর দিকে পুলিশের তরফে বিশেষ নজর দেওয়া শুরু হয় বছর চারেক আগে থেকে। যদিও তার আগেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। বছর চারেক আগে পরিকল্পনা মতো শিলিগুড়ি কমিশনারেটের প্রতিটি থানা এলাকায় আলাদা করে ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করা হয়।

অভিযোগ, তার মধ্যে বেশিরভাগ ক্যামেরাই অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই কোনও অপরাধমূলক ঘটনার পরে দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন বহুতল, দোকান বা ব্যক্তিগত কারও বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ় সংগ্রহ করতে হচ্ছে পুলিশকে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেছেন, “শহরে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যে সব ক্যামেরা বিকল রয়েছে, সেগুলিও ঠিক করা হবে।” কিছু দিন আগেই পুরসভা ও পুলিশের মধ্যে আলোচনা হয়। সেখানে শহরে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা নতুন করে বসিয়ে সেগুলি যাতে সচল রাখা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কমিশনারেটের একটি কন্ট্রোল রুম থেকে কিছু ক্যামেরার মাধ্যমে শহরে নজর রাখা হয়। আলাদা করে থানাগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হলেও খুব একটা লাভ হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, কমিশনারেট এলাকায় অন্তত ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এসজেডি-সহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে পুলিশ ক্যামেরাগুলি বসিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তার মধ্যে অধিকাংশ ক্যামেরা অকেজো হয়ে রয়েছে। শিলিগুড়ি, প্রধাননগর, ভক্তিনগর, মাটিগাড়া, বাগডোগরা-সহ বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি এলাকায় একই অবস্থা। থানা চত্বরে লাগানো ক্যামেরাগুলি কাজ করলেও রাস্তা, বাজার, ব্যস্ত এলাকাগুলিতে অনেক জায়গায় ক্যামেরা অকেজো।

পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, সব থানা এলাকায় ক্যামেরা লাগানো হলেও, সে সব দেখভালে নির্দিষ্ট কোনও সংস্থা নেই। দেখভালের অভাবেই সে সব বন্ধ হয়েছে। থানাগুলিতেও ক্যামেরার ছবিতে নজর রাখার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরও অভাব রয়েছে। কোথাও ক্যামেরা চললেও তার ফুটেজ় বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখাও সম্ভব হচ্ছে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy