E-Paper

মৃত প্রাক্তন ক্রিকেটারের বাড়িতে মেয়র ও বিধায়ক 

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা হলেও, সে সব কেউ পরিষ্কার করে না। এটা বিপজ্জনক। এর পরে, এ দিন তড়িঘড়ি সে সব পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১৭
মৃত তরুণের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে মেয়র আসবেন এলাকায়। বৃহস্পতিবার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি নর্দমা সারাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন পুরসভার ঠিকাদার কর্মীরা।

মৃত তরুণের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে মেয়র আসবেন এলাকায়। বৃহস্পতিবার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি নর্দমা সারাইয়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন পুরসভার ঠিকাদার কর্মীরা।  ছবি: স্বরূপ সরকার।

ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে প্রাক্তন ক্রিকেটারের মারা যাওয়ার ঘটনাকে সামনে রেখে, পুরসভাকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে বলে দাবি করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। শহরে সাফাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে আরও বেশি জোর দেওয়া দরকার বলে তিনি জানান। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত তরুণের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে, শহরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিধায়ক। শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের তথ্য এখন সামনে আনা হয় না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। মেয়র গৌতম দেবও এ দিন মৃতের বাড়িতে যান। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মেয়র, বিধায়ক।

মেয়র বলেন, ‘‘বিরোধীরা বিরোধিতা করার জন্য কথা বলবেন। বলুন। চোখে রঙিন চশমা পরে থাকলে, কিছু করার নেই। পুরসভা তথ্য গোপন করে না। কোথায় কত আক্রান্ত, স্বাস্থ্য দফতর পোর্টালে তা দেয়।’’

ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে মৃত বাপ্পা রায়ের বাড়ির কাছেই একটি বাড়ির পিছনের অংশে এ দিনও জঞ্জাল, আবর্জনা, প্লাস্টিকের প্যাকেট, ফেলে দেওয়া ভাঙা বালতি, কৌটো জমা
হয়ে পড়েছিল।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা হলেও, সে সব কেউ পরিষ্কার করে না। এটা বিপজ্জনক। এর পরে, এ দিন তড়িঘড়ি সে সব পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি। লাগোয়া কুয়োর পাড় থাকায় আবর্জনা, প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত প্যাকেট, ভাঙা বালতি, কৌটোয় জল জমা হয়ে যে কোনও সময় লার্ভা জন্মে বিপদ বাড়বে বলে আশঙ্কা। মৃতের বাড়ির কাছে বেহাল নিকাশিতে জল জমে থাকত বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এ দিন তা পরিষ্কার করার কাজও শুরু হয়। বাসিন্দাদের কয়েক জন জানান, কিছু হলে তবেই পুরসভা নড়েচড়ে বসে। এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র দিয়ে আবর্জনা তুলে সরানোর ব্যস্ততা দেখা গিয়েছে। পুরপ্রতিনিধি লক্ষ্মী পালের দাবি, যে বাড়িতে ভাঙা বালতি কৌটো জমা হয়ে পড়েছিল, তাঁদের একাধিক বার বলা হয়েছে। নোটিসও করা হয়েছে।

সাফাই-পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র বলেন, ‘‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় থাকে। এখন বৃষ্টি কমেছে। ঠান্ডা পড়ছে। ডেঙ্গির প্রকোপ কমার কথা। গোড়া থেকেই পুরসভা কাজ করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সমীক্ষক দলকে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠছিল। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গির প্রকোপ এ বছর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।’’ অন্য দিকে, বিধায়ক শঙ্কর বলেন, ‘‘আশা করব, শিলিগুড়ি পুরসভা আরও সতর্ক হবে। দক্ষিণবঙ্গে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আগে ওয়ার্ড ধরে ডেঙ্গির আক্রান্ত সংখ্যা প্রকাশ করা হত। যে সমস্ত ওয়ার্ডে বেশি সেখানে সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিষ্কার করা, স্প্রে করা হত। এখন তথ্যই সামনে আসে না।’’

পরিবারের একমাত্র রোজগারের সদস্য ছিলেন মৃত বাপ্পা। সে কারণে বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। মেয়র জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিবারটি সামাজিক সুরক্ষা কোনও প্রকল্পে কিছু পেতে পারে কি না দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy