Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

লুকিয়ে আনা স্মার্টফোনে গোপনে নজর ক্যামেরায়

শিলিগুড়ির একটি মেয়েদের স্কুলের শিক্ষিকারা ক্লাসে ঢোকার সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি লাগোয়া একটি স্কুলের অভিভাবকরা শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

লুকিয়ে: স্কুলে গোপনে স্মার্টফোন হাতে ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র

লুকিয়ে: স্কুলে গোপনে স্মার্টফোন হাতে ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদাতা
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:১২
Share: Save:

শিক্ষকদের আচরণবিধি লাগু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে স্মার্টফোন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে যাওয়া নিষেধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর দিনাজপুর প্রশাসন। তার আগেই স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ি চলছে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির স্কুলগুলোতে। শিলিগুড়ি লাগোয়া একটি স্কুলে প্রতিটি ক্লাসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাতে শিক্ষকরা ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেন কি না, তার উপরেও নজরদারি চলে।

শিলিগুড়ির একটি মেয়েদের স্কুলের শিক্ষিকারা ক্লাসে ঢোকার সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি লাগোয়া একটি স্কুলের অভিভাবকরা শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ক্লাসে ছাত্রদের পড়তে বলে শিক্ষকদের একাংশ মোবাইলে মশগুল হয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। এক শিক্ষকের কাছে লিখিত ভাবে জবাবদিহি চাওয়ার পরে সেই প্রবণতা কমেছে বলে দাবি।

শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শেফালি সিংহ বলেন, ‘‘কোনও বিধিনিষেধের আমাদের প্রয়োজন নেই। শিক্ষিকারা ক্লাসে যাওয়ার আগে মোবাইল বন্ধ করে দেন, নয়তো মোবাইল অফিসে রেখে দেন। এটাই আমাদের প্রথা। আমাদের স্কুলে এ সব নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’’ শিলিগুড়ির একটি স্কুলে ক্লাস নেওয়ার সময় এক শিক্ষক নিজস্বী তুলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই ছবি নজরে পড়ার পরে স্কুলের পরিচালন কমিটি শো কজ করে ওই শিক্ষককে। বিধাননগর মুরলীগছ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল হক বলেন, ‘‘এই প্রবণতা খুবই মারাত্মক। শিক্ষকরা ক্লাসে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে পড়ুয়াদের ওপর তার প্রভাব পড়বেই। তবে শিলিগুড়ির স্কুলগুলিতে এই নিয়ম যথেষ্ট ভাবেই মানা হয়।’’

পুজোর পরে জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে মোবাইল নিয়ে বিশেষ অভিযান চালায়। পড়ুয়া-শিক্ষক সকলকেই মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়। ফণীন্দ্রদেব ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ গুহ বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন সে বার উদ্ধার করা হয়েছিল। পুজোর পরে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরে এখন আর তেমন প্রবণতা নেই। শিক্ষকদের কাজের সুবাদে স্কুলে ফোন আনতেই হয়, তবে ক্লাসে কেউ ব্যবহার করেন না। এ বিষয়ে আলাদা করে কোনও নির্দেশ দিতে হয়নি।’’ জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা অর্পণা বাগচির কথায়, ‘‘কোনও আচরণবিধির প্রয়োজন হবে কেন! শিক্ষিকারা নিজেরাই এ বিষয়ে সচেতন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE