পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়ার রেশন কার্ড। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহের মানিকচক পঞ্চায়েত দফতর সংলগ্ন জলাশয় থেকে উদ্ধার হল কয়েকশো রেশন কার্ড। জলে রেশন কার্ড ভাসতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অকুস্থলে ছুটে যান বিডিও। কোথা থেকে এল কার্ড, জানতে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার সকালে আচমকাই চা়ঞ্চল্য মানিকচকে। জানা যায় পঞ্চায়েতর দফতরের পাশের পুকুরে ভাসছে রেশন কার্ড। সাতসকালে পুকুরে রেশন কার্ড ভাসতে দেখে মুহূর্তে তা জানাজানি হয়ে যায়। বহু মানুষ ভিড় করেন পুকুরপাড়ে। উত্তেজনার আঁচ পেয়ে চলে আসে পুলিশও। তড়িঘড়ি অকুস্থলে পৌঁছন মানিকচকের বিডিও কারমবীর কেশব। এলাকাবাসী বিডিওর সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনিক গাফিলতির কারণেই পুকুরে রেশন কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে মোট ১০৫টি রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে। বিডিও বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া রেশন কার্ডের বেশির ভাগই বাতিল কার্ড। আমরা তাও নতুন করে খতিয়ে দেখব, কোনও একটিও কার্ড ব্যবহারযোগ্য রয়েছে কি না। যত দূর মনে হচ্ছে, ২০১৩, ২০১৫ সালের কার্ড এগুলি। আমাদের প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, হয়তো নতুন রেশন কার্ড ইস্যু হয়েছে তাই পুরনো কার্ডগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে এটি তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছি। ব্লকস্তরে আলাদা কমিটি তৈরি করে বিষয়টির তদন্ত করা হবে।’’
শীতের সকালে পঞ্চায়েত সংলগ্ন পুকুরে শতাধিক রেশন কার্ড ভাসার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বিষয়ে এক্সেল শিট তৈরি করে মিলিয়ে দেখা হবে, যে নামে রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি কি সত্যিই মেয়াদ উত্তীর্ণ না কি অন্য কোনও ভাবে তা পুকুরে ফেলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy