Advertisement
E-Paper

প্রথম রাতে শব্দ কমই

পুজোর আগে থেকেই পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। শব্দবাজি রুখতে ধরপাকড়ও হয়েছিল। কারণ যাই হোক মঙ্গলবার কালীপুজোর রাতে শব্দবাজি নিয়ে শিলিগুড়িতে কিছুটা স্বস্তি মিলল বাসিন্দাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৮
আনন্দ: তুবড়িতে মজেছে খুদেরা। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

আনন্দ: তুবড়িতে মজেছে খুদেরা। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

পুজোর আগে থেকেই পুলিশের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। শব্দবাজি রুখতে ধরপাকড়ও হয়েছিল। কারণ যাই হোক মঙ্গলবার কালীপুজোর রাতে শব্দবাজি নিয়ে শিলিগুড়িতে কিছুটা স্বস্তি মিলল বাসিন্দাদের। পুলিশ-প্রশাসনও দাবি করল, মঙ্গলবার কানফাটা আওয়াজে রাত অবধি বাজি ফেটেছে তুলনামূলকভাবে কমই। যদিও আজ বুধবারের রাত না গেলে সেরকম নিশ্চিন্ত হতে পারছে না পুলিশ বা বাসিন্দা কেউই। তবে মঙ্গলবার ভাল পরিমাণেই আতসবাজি ফেটেছে শহরে। যার ফলে শহরের বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে।

মঙ্গলবার সন্ধে থেকে পাড়ায় পাড়ায়, বড় রাস্তায় দেদার পুড়েছে রংবেরঙের আতসবাজি। বেশি রাতের দিকে পাড়ার অলিগলিতে শব্দবাজি ফাটানোর বিক্ষিপ্ত আওয়াজ অবশ্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের নজরদারি ভ্যান কাছাকাছি যেতেই সরে পড়েছে ছেলে-ছোকরাদের দল। কমিশনারেটের অফিসারদের কথায়, কালীপুজোয় বাজি ফাটলেও তা খুব বেশি সমস্যা তৈরি করে না। কিন্তু পরেরদিন দেওয়ালির রাতে শহর রীতিমত কেঁপে ওঠে বলেই তাঁদের অভিজ্ঞতা। এ বার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাত ৮টা-রাত ১০টা বাজি ফাটানোর ছাড়পত্র রয়েছে।

মঙ্গলবার নির্ঘণ্ট মেনে পুজো শুরু হতে রাত সাড়ে ১০টা বেজে যায়। ততক্ষণে বাজি ফাটানোর সময়সীমাও শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও গভীর রাত অবধি শহর এবং লাগোয়া এলাকাতে কিছু কিছু বাজি ফেটে বলেছে অভিযোগ। বেশি রাতে সেবক রোড, দুই মাইল, স্টেশন ফিডার রোড, খালপাড়া, মিলনপল্লি, আশ্রমপাড়া, বর্ধমান রোড, আশ্রমপাড়া, প্রধাননগর, পঞ্জাবিপাড়ায় কিছু শব্দবাজি ফেটেছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে না হলেও চম্পসারি, বাইপাস, কাওয়াখালি, নকশালবাড়ি, মাটিগাড়ি এসব এলাকায় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ টুকটাক বাজি ফাটার শব্দ শোনা যায়।

নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এ দিনও জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনাও। মাটিগাড়া থেকে প্রধাননগর, বাগডোগরা থেকে শিলিগুড়ি- পুলিশের ভ্যান মদ্যপ, জুয়াড়িদের খোঁজে, শব্দবাজি ফাটানো রুখতে দৌড়াদৌড়ি করলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। গত সোমবার রাতে অবশ্য শিলিগুড়ি থানা এলাকার সন্তোষীনগর থেকে নিষিদ্ধবাজি উদ্ধার হয়েছে। ধরা হয়েছিল দুই ব্যবসায়ীকেও।

পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের অন্যতম কর্তা অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘প্রথম দিন তো মোটামুটি ঠিকই চলল। দেওয়ালির রাতে কী হয় দেখা যাক!’’

Pollution Environment Siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy