প্রতীকী ছবি।
এ বারে আল কায়দা জঙ্গির খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন কোচবিহারের সিতাইয়ের এক গ্রামে অভিযান চালাল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। গত শনিবার এসটিএফ ওই গ্রামে যায় তারা। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের দু’জনের সঙ্গে আল কায়দার যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা গত পাঁচ বছর ধরে ওই গ্রামে ছিলেন। তাঁদের এক জন স্থানীয় মসজিদের ইমামও ছিলেন। এসটিএফ সূত্রে দাবি, একজনের নাম সইফুদ্দিন, অন্য জনের নাম নুর কাসিম। এঁদের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধৃত আব্দুল রাকিবের যোগাযোগ ছিল বলেও জানতে পেরেছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, দু’জনই গা ঢাকা দিয়েছন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, ওই বিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। এসটিএফের এক আধিকারিকও ওই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।
গত ১৮ অগস্ট শাসন থেকে আল কায়দার দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এদের মধ্যে রাকিবের কাজ ছিল সংগঠনের জন্য লোক জোগাড় করা। তাঁকে জেরা করেই এই দু’জনের নাম পান তদন্তকারী অফিসাররা। সিতাই বিধানসভার দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বড়শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রাম শ্রীলঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় পাঁচ বছর ধরে সইফুদ্দিন ওই গ্রামেই ছিলেন। আড়াই মাস আগে তিনি স্ত্রী একাবানুকে নিয়ে বাইরে চলে যান। মদনাকুরা মসজিদে ইমাম হিসাবে তাঁকে সকলে চিনতেন। তাই তিনি কোথায় গেলেন তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল হক, শফিকুল ইসলামেরা বলেন, ‘‘আমরা তাঁকে (সইফুদ্দিনকে) ভাল মানুষ বলেই চিনতাম। হঠাৎ মাস দুয়েক ধরে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। কয়েক দিন আগে একটি তদন্তকারী দল এসে সইফুদ্দিনের খোঁজ খবর করে। তখন আমরা জানতে পারলাম, ওই ব্যক্তি কোন অপরাধমূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।’’ ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মাসুমা পারভীনও বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে জানতে পারলাম এসটিএফের একটি দল ওই গ্রামে গিয়ে সইফুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির খোঁজখবর শুরু করে। তবে ওই ব্যক্তি তো মাস দুয়েক আগে চলে গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy