বাহিনে দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে খাবার বিলি করছেন কৃষ্ণ। নিজস্ব চিত্র।
রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক ‘বেসুরো’ কৃষ্ণ কল্যাণীর পাশে দাঁড়ালেন মালদহের হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জোয়েল মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে এক সপ্তাহ আগে জেলায় দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ান কৃষ্ণ। এরপর কৃষ্ণ দিল্লিতে গিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে বাসুদেব ও দেবশ্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়ে আসেন।
পাশাপাশি, রায়গঞ্জের সুপারমার্কেট এলাকায় কৃষ্ণর দলীয় কার্যালয় থেকে দেবশ্রী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি সরিয়ে দেন তাঁর অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কৃষ্ণ রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুপুরে রুটি ও তরকারি বিলি করেন। সেখানেই পাশে দাঁড়িয়ে জোয়েলকে খাবার বিলি করতে দেখা গিয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবারে জোয়েলও ‘বেসুরো’র পথে হাঁটছেন কি না, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে।
জোয়েলের অবশ্য বক্তব্য, “উনি দলে কাজ করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।”
কিছুদিন আগে শিলিগুড়িতে বিজেপির উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন জোয়েল। এবারে ‘বেসুরো’ কৃষ্ণর পাশে জোয়েল দাঁড়ালেন কি না তা নিয়ে উত্তর দিনাজপুর ও মালদহে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের দাবি, জোয়েল দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। ফলে ‘বেসুরো’ কৃষ্ণকে ‘সুরে’ ফেরাতে দলের তরফে জোয়েলকে আসরে নামানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বিজেপির মালদহের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “জোয়েলবাবু কৃষ্ণবাবুকে দলের মূলস্ত্রোতে ফেরাতে রায়গঞ্জে গিয়েছেন বলে আমার ধারণা।” এ দিন মধুপুরের বিজেপির নেতা ও কর্মীদের অনেকেই কৃষ্ণকে তৃণমূলে না ফেরার অনুরোধ করেন। তখন কৃষ্ণ তাঁদের বলেন, “বাসুদেববাবু ও দেবশ্রীদেবীর স্বেচ্ছাচারিতা, তুঘলকি আচরণ, ষড়যন্ত্র ও স্বজনপোষণের জেরে আমি জেলায় দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি তৃণমূলে ফিরলে আপনাদের জানিয়েই ফিরব।” বাসুদেব ও দেবশ্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy