Advertisement
E-Paper

পরিষেবা ফেরাতে প্রশিক্ষণের ভাবনা

এ বার বনবাংলোগুলিতে পেশাদারিত্বের ছোয়া আনতে চাইছে বন দফতর। ঠিক হয়েছে বছরে দুই দফায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই পর্যটন দফতর তাদের বাংলো-লজগুলিতে পেশাদার সংস্থাকে নিয়োগ করেছে।   

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৩
নিগমের বন বাংলো। ফাইল চিত্র।

নিগমের বন বাংলো। ফাইল চিত্র।

সারা রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে বন উন্নয়ন নিগমের একাধিক বাংলো। সেখানে কোথাও বনবস্তিবাসীদের নিয়ে তৈরি যৌথ বন পরিচালন কমিটির মাধ্যমে চলে বাংলোগুলি। কোথাও আবার চলছে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির বনকর্মীদের দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কোনও সময় রান্নার গুণমান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার পর্যটকদের সঙ্গে ব্যবহার বা নিরাপত্তা নিয়েও সরকারিস্তরে পৌঁছেছে অভিযোগ। তাই এ বার বনবাংলোগুলিতে পেশাদারিত্বের ছোয়া আনতে চাইছে বন দফতর। ঠিক হয়েছে বছরে দুই দফায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই পর্যটন দফতর তাদের বাংলো-লজগুলিতে পেশাদার সংস্থাকে নিয়োগ করেছে।

সরকারি সূত্রের খবর, নিগমের বাংলোর কর্মীদের পেশাদার কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের আর অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না। এই কাজের জন্য রাজ্যের বিজনেস স্কুল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বা হসপিটালিটি সংস্থার সাহায্য নিতে চলছেন নিগমের কর্তারা। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গকে আলাদা করে দু’ধাপে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন বছরের গোড়াতে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রান্না, রান্নাঘর পরিচালনা, রেস্তরাঁ বা ডাইনিং হলের কাজ শেখানো হবে। তার সঙ্গে ফুড সেফটি এবং পরিচ্ছন্নতা, ফায়ার সেফটি, রুম ম্যানেজমেন্টের মতো কাজ ছাড়াও কিছুটা প্রশাসনিক কাজের ধরন শেখানো হবে। রাজাভাতখাওয়াকে কেন্দ্র করে ৮টি এলাকার বাংলো, লাভাকে কেন্দ্র করে তিনটি, আলিপুরদুয়ারকে কেন্দ্র করে দু’টি, লেপচাজগত থেকে তিনটি বাংলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ হবে। এ ছাড়াও মুকুটমণিপুর, গড়পঞ্চকট, গড়চুমুক ও ঝাড়গ্রামের নিগমের বাংলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ হবে।

বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘বন বাংলোর চাহিদা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে সবসময় রয়েছে। সেখানে পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ থাকা জরুরি।’’

রাজ্যের বন দফতরের দু’ধরনের বাংলো রয়েছে। নিগমের বাংলোগুলিতে অনলাইনে বুকিং করে পর্যটকেরা থাকতে পারেন। এর বাইরে বন দফতরের অফিসার্স রেস্ট হাউস বলে পরিচিত বহু বাংলোয় সরাসরি বুকিং মেলে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মনে করলে, বাণিজ্যিক ভাড়ায় তা পর্যটকদের থাকতে দিতে পারেন। কিন্তু সরকারি অফিসার এবং ভিআইপি-র জন্য গরুমারা, চাপড়ামারি, সুকনা, জয়ন্তী, বামনপোখরির মত বাংলো বেশিরভাগ সময় সাধারণ পর্যটকদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

১৯৭৪ সালে বন উন্নয়ন নিগম তৈরি হয়। এখন বাংলোগুলির ঘরের ভাড়া ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। অনেক সময় সরকারি অতিথিদেরও বাংলোগুলিতে রাখা হয়। নিগমের মংপং বাংলোতে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় বাইরে থেকে আরও প্রশিক্ষিত পাচক, কর্মীদের রাখতে হয়েছে।

Forest Department Forest Bungalow Tourism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy