Advertisement
E-Paper

বুথে, সেক্টরের দায়িত্বেও থাকবে না রাজ্য পুলিশ

বুথ তো নয়ই, কোচবিহারে সেক্টরের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্য পুলিশকে।রবিবারই নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশ পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছয়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানালেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব।বুথ তো নয়ই, কোচবিহারে সেক্টরের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্য পুলিশকে। রবিবারই নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশ পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছয়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানালেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫০

বুথ তো নয়ই, কোচবিহারে সেক্টরের দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্য পুলিশকে।

রবিবারই নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশ পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছয়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানালেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব। তিনি জানান, রাজ্য পুলিশকে আলাদা করে রাখা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের ব্যবহার করা হবে। এ জন্য নতুন করে কোচবিহারের জন্য আরও ১৩ কোম্পানি বাহিনী বেশি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে জানানো হয়েছিল কোচবিহারে ১১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী থাকবে। বুথে বুথে তাঁদের রাখা হবে। এ বারে সেক্টর, আরটি মোবাইল, তল্লাশিতেও আধা সামরিক বাহিনী থাকবে। এ বারে আধা সামরিক বাহিনী বাড়িয়ে ১২৩ কোম্পানি করা হয়েছে। সেই অনুপাতে রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কমানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের পাঁচ হাজার কর্মী ভোটের দিন জেলায় রাখা হবে বলে ঠিক হয়। এখন তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ মে কোচবিহারে ভোট।

পুলিশ সুপার বলেন, “ইতিমধ্যে কিছু আধা সামরিক বাহিনী জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। বাকি বাহিনী ভোটের দু’দিন আগে জেলায় পৌঁছে যাবে।” ওই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার দিক থেকে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না। কমিশনের নির্দেশ মেনে সব কাজ করা হবে।” জেলাশাসক জানান, কোচবিহারে সুরক্ষিত নয় এমন বুথের সংখ্যা ১৪৭ টি এবং সঙ্কটপূর্ণ বুথের সংখ্যা ১৭২টি। ওই বুথগুলি সহ ৯০০টি বুথে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়েছে। ১৬৩ টি বুথে ভিডিও ক্যামেরা, ৩০০ বুথে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন এবং ৯০টি বুথে স্টিল ক্যামেরা রাখা হবে। এ ছাড়াও ১২টি গুরত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি থাকবে। ৭৫টি বুথ থেকে ওয়েব কাস্টিং করা হবে। ২২০ জন মাইক্রো অবজারভার থাকবেন। ওই সব বুথে দিল্লি থেকে সরাসরি নজরদারি করতে পারবেন কমিশনের আধিকারিকেরা। অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার ছাড়াও মহকুমাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদেরও দায়িত্বে রাখা হবে। ৪১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা। ৯০টি মডেল পোলিং স্টেশন এবং ২৬টি মহিলা পরিচালিত পোলিং স্টেশন থাকবে। ভোটের দায়িত্ব থাকবেন ১২ হাজার ৩৭০ জন। ভোটের কাজে ৩১০০ গাড়ি ব্যবহার করা হবে। কোচবিহার ছাড়াও লাগোয়া আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকে গাড়ি আনা হবে।

বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে কোচবিহারেও রাজ্য পুলিশ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইতিমধ্যেই দিনহাটা ও তুফানগঞ্জ থানার ইনচার্জদের শাসক ঘনিষ্ঠতার কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই জায়গায় নতুন অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেইও একাধিক থানার কাজ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। সে জন্যই রাজ্য পুলিশকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশের কর্তারা। অবশ্য আধা সামরিক বাহিনীর একটি দলের সঙ্গে একজন করে রাজ্য পুলিশের অফিসার থাকবেন।

Entertainment Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy