Advertisement
E-Paper

টুকলির প্রতিবাদ করায় এলোপাথাড়ি কিল, চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রেই অজ্ঞান ছাত্রী!

মালদহের সামসির বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে বুধবার ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সামসি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ঘন্টাখানেক বাদে ওই পরীক্ষার্থীর জ্ঞান ফিরেছে। যদিও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে কিভাবে এমন ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩১
জখম: হাসপাতালে মৌসুমী খাতুন। নিজস্ব চিত্র

জখম: হাসপাতালে মৌসুমী খাতুন। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষা কেন্দ্রে কয়েক জন টুকলি করছে বলে পরিদর্শককে জানিয়েছিল এক পরীক্ষার্থী। সেই ‘অপরাধে’ পরীক্ষার শেষ দিনে ছাত্রীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তিন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তিন ছাত্রীর এলোপাথাড়ি কিল, চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওই ছাত্রী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

মালদহের সামসির বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে বুধবার ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সামসি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ঘন্টাখানেক বাদে ওই পরীক্ষার্থীর জ্ঞান ফিরেছে। যদিও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে কিভাবে এমন ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিদর্শক উত্তরপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর আচমকই ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে পরীক্ষাকেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে। তবে সন্ধে পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ হয়নি।

বৈদ্যনাথপুর পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ তথা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কর্মকার বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এমন কিছু যে ঘটতে পারে ভাবতেই পারছি না।’’

পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রের খবর, বৈদ্যনাথপুর কেন্দ্রে সামসি সীতাদেবী গার্লস হাই স্কুল ও বাহারাল পিএল সাহা হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের আসন পড়েছিল। সোমবার অঙ্ক পরীক্ষার দিন বাহারাল হাইস্কুলের তিন ছাত্রী টুকলি করছে বলে পরিদর্শেকের নজরে নিয়ে আসে সীতাদেবী গার্লস স্কুলের ছাত্রী মৌসুমা খাতুন। তারপর থেকেই তাকে দেখে নেওয়া হবে বলে ওই তিন ছাত্রী হুমকি দিয়েছিল বলে মৌসুমী দাবি করেছে।

তারপরে এ দিন ছিল শেষ পরীক্ষা। সূত্রের খবর, এদিন উত্তরপত্র জমা নেওয়ার পরে পরিদর্শক বেরিয়ে যেতেই আচমকা তিন ছাত্রী মৌসুমীকে ঘিরে ধরে। তারপরেই তার উপরে চড়াও হয়ে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। মারধরে পরীক্ষাহলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মৌসুমী। হইচই শুনে কর্তৃপক্ষ ছুটে আসার আগেই তিন ছাত্রী পালিয়ে যায়।

সীতাদেবী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা সরকার বলেন, ‘‘তিন ছাত্রীর নাম জানতে পেরেছি। ঘটনার কথা জেনে শিউরে উঠছি। পুলিশে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Cheating Corruption Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy