আত্রেয়ীর হাঁটু জলে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। সোমবার হোলির সকালে বন্ধুদের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল বালুরঘাট শহরের ডিএভি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শুভম সরকার (১৬)। দুপুরের পর আত্রেয়ী নদী থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের চকভবানি এলাকায় বাড়ি ছিল ওই ছাত্রের। সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল শুভম। কিন্তু তিন দিন পরেও তার সাইকেল এবং মোবাইল ফোন এখনও মেলেনি। বন্ধুরাও মুখ খুলছে না বলে মৃত ছাত্রের মা পপিদেবীর অভিযোগ।
পড়াশুনার জন্য বালুরঘাটের উত্তর চকভবানি এলাকায় বাপের বাড়িতে একমাত্র ছেলে শুভমকে নিয়ে থাকতেন পপিদেবী। তাঁর স্বামী দিল্লিতে মেট্রো রেলে কর্মরত। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বুধবার সকালে বালুরঘাটে এসে পৌঁছন অশোক সরকার। এ দিন অন্ত্যেষ্টি হয় শুভমের।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানতে চেয়ে আইসিকে আবেদন করেন সরকার দম্পতি। অশোকবাবু বলেন, ‘‘শুভমের বন্ধুরা ঘটনার বিষয়ে কিছুই বলছে না। হাঁটু জলে ডুবে কি করে ছেলের মৃত্যু হল ? বন্ধুরা তখন কোথায় ছিল ? সমস্তটাই ধোঁয়াশা রয়েছে। দোলের দিন ঠিক কি হয়েছিল আমরা জানতে চাই।’’ বালুরঘাট থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘সোমবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল। এ দিন বাবা মায়ের তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হবে।’’
স্কুলের সিবিএসসি বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল শুভমের। দোলের আগের দিন শনিবার হিন্দি পরীক্ষা ছিল তার। দোলের দিন বাড়ি থেকে বের হবে না বলে মা পপিদেবীকে জানিয়েছিল শুভম। কিন্তু বন্ধুরা একাধিকবার ফোন করায় শুভম সাইকেল নিয়ে সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। তার মা পপিদেবী বলেন, ‘‘দুপুর ১টা নাগাদ ছেলের মোবাইলে ফোন করলে শুভম জানায় সে খাওয়া দাওয়া করছে। একটু পরে বাড়ি ফিরবে।’’ কিন্তু দুপুর দু’টো নাগাদ শুভমের মোবাইলে তার মা পপিদেবী ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পান। পপিদেবীর দাবি, বিকেল ৪টে নাগাদ ছেলে এবং তার বন্ধুদের ফোন বন্ধ পেয়ে খুঁজতে বেরিয়ে যান। কিন্তু বন্ধুরা কোনও কথাই বলেনি বলে পপিদেবীর অভিযোগ। পরে জানতে পেরে বালুরঘাট হাসপাতালে গিয়ে শুভমের নিথর দেহ দেখতে পান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy