প্রতীকী ছবি।
স্কুল ছাত্র গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ধৃত ছাত্রের দুই বন্ধুকে জেরা করে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র। মালদহের কালিয়াচক থানার চাঁদপুর গ্রামেরই আম বাগানে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের মধ্যে ঢুকিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল একটি নাইন এমএম পিস্তল। শনিবার রাতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আগ্নেয়াস্ত্রটি স্থানীয় ভাবে বানানো হয়েছে। তবে ওই যুবকদের কাছ থেকে নাইন এমএমের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা।
কোথা থেকে পিস্তলটি তারা পেয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
শুক্রবার দুপুরে আম বাগানে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল ওই এলাকারই হাই মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হয় আব্দুল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার দুই বন্ধু আব্দুল হোসেন এবং আসলাম খান। তবে বন্ধুকে হাসপাতালে ভর্তি করেই গা ঢাকা দেয় ওই দুই যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে তাদের আটক করে পুলিশ। তার পরে শনিবার তাদের গ্রেফতার করে মালদহ আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় পাকা অপরাধীদের মতো গল্প ফেঁদেছিল ওই দুই যুবক। তারা জেরায় জানিয়েছিল, মুখে গামছা বেঁধে চার দুষ্কৃতী বাগানের মধ্যে ঢুকে যায়। গুলি চালাতে শুরু করলে একটি গুলি লাগে করিমের পায়ে। পুলিশ অবশ্য একটু কঠোর হতেই পুরো ঘটনাটি স্বীকার করে ওই দুই যুবক। জানা গিয়েছে, নাইন এমএমম পিস্তল নিয়ে বাগানে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিল তারা তিন জন। একটি গুলি দেওয়ালে লেগে ছিটকে করিমের দু’পা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।
পুলিশের কাছ থেকে বাঁচতে অপহরণের গল্প ফাঁদা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ স্কুল ছাত্রকে আটক করে রাখা হয়েছে।
এ দিকে, স্কুল পড়ুয়া গ্রামের যুবকদের কাছে নাইন এমএমের মতো অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন গ্রামবাসী। তাঁদের দাবি, ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে তাদের আগে পুলিশ গ্রেফতার করুক। কারা গ্রামের যুবকদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দিচ্ছে, তার তদন্ত হলে তবেই গ্রামের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy