Advertisement
E-Paper

বিজেপির কর্মসূচি, শব্দে জেরবার পরীক্ষার্থীরা

পুলিশ কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন নীলাঞ্জনবাবু। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে বালুরঘাট কলেজের গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২৮
বিজেপির বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং বিরোধী দলের তরফে থানায় দায়ের করা অভিযোগের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারের অফিসে বিক্ষোভ আন্দোলন করলেন বিজেপির কর্মী-সদস্যেরা। সোমবার বালুরঘাটে পুলিশের বিরুদ্ধে জেলা বিজেপির ওই বিক্ষোভ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নীলাঞ্জন রায়। এ দিকে দুপুরে বার্ষিক ও একাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজানো শুরু হওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও তাতেও শেষ পর্যন্ত কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতাদের অবশ্য দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরেই তাঁরা মাইকের আওয়াজ কমিয়েছিলেন।

পুলিশ কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেন নীলাঞ্জনবাবু। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে বালুরঘাট কলেজের গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই ছাপ্পা ভোট দিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সাহায্যে করা ওই কারচুপি আসন্ন লোকসভা ভোটে পুনরাবৃত্তি করে দেখাক তৃণমূল। পুলিশ ও শাসকের অত্যাচার প্রতিহত করতে বিজেপি কর্মীরা তৈরি।’’ এ দিন বিজেপির পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবিতে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি প্রসঙ্গে নবাগত জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘আগে কী হয়েছে জানা নেই। ওঁরা অভিযোগ করতেই পারেন। পুলিশ আইন মেনেই কাজ করে। আগে যিনি ছিলেন তিনিও আইন মেনেই করে থাকবেন। দাবি খতিয়ে দেখা হবে।’’

বিকেলে এসপি অফিস ঘেরাও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হলেও এ দিন দুপুর থেকেই জোরাল শব্দে মাইক বাজানো শুরু হয়। সভামঞ্চ থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুল এবং বালুরঘাট হাইস্কুলে বার্ষিক ও একাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। তাতে বিপাকে পড়েন পড়ুয়ারা। নিরুপায় হয়ে স্কুল থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়। তাতে কিছু সময় মাইকের শব্দ কমিয়ে ফের তারস্বরে বাজানো হয় বলে অভিযোগ। আন্দোলন করলেও এলাকায় স্কুল এবং পড়ুয়াদের সমস্যার বিষয়টি কেন তাঁরা মাথায় রাখছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দু’মাস আগে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে হেফাজতে নিয়ে জেলবন্দি করে রাখে বলে অভিযোগ। সে সময় সভাপতিকে গ্রেফতার করা নিয়ে বালুরঘাটে গেরুযা শিবির তেমন ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি বলে দলের একাংশের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই তা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এ দিনের বিক্ষোভে বিজেপি নেতা নীলাঞ্জনবাবুর অভিযোগকে অবশ্য গুরুত্ব দেননি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করবে। সর্বস্তরেই এর মোকাবিলা হবে।’’

Sound Program BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy