Advertisement
E-Paper

দিদি বললেই আসবে পুরসভা, হুমকি শুভেন্দুর

গৌতম দেবের পর এ বার শিলিগুড়ি পুরসভার দখল সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর বক্তব্য, শিলিগুড়ি পুরসভা দখল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের অপেক্ষা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৭
কিসানগঞ্জের সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: নিজস্ব চিত্র

কিসানগঞ্জের সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: নিজস্ব চিত্র

গৌতম দেবের পর এ বার শিলিগুড়ি পুরসভার দখল সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর বক্তব্য, শিলিগুড়ি পুরসভা দখল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের অপেক্ষা।

বুধবার বাগডোগরায় দলের অবস্থান-বিক্ষোভ মঞ্চে শুভেন্দুবাবু জানান, তাঁরা ইচ্ছে করলে যে কোনও দিন বামেদের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ দুই বোর্ডই হাতে নিতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা চাইলেই, গৌতমদারা (দেব) চাইলেই মহকুমা পরিষদের বোর্ড হাতে চলে আসবে। আর দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) অনুমতি দিলেই, গৌতমদারা চাইলেই পুরসভাও হাতের মুঠোয় চলে আসবে।’’

মঙ্গলবারই প্রকাশ্য সভা থেকে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব পুরবোর্ড গড়তে বাম-অবাম সমস্ত কাউন্সিলরের কাছে সমর্থন চেয়ে আর্জি জানান। বামেদের হাতে থাকা দুই বোর্ডের দখল নিতে দু’দিন পরপর রাজ্যের দুই মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে শিলিগুড়ির রাজনীতি। পুরসভার মেয়র তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ ‘‘তৃণমূল অনাস্থা আনলে নিজেদের সব সদস্যের ভোট পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’’ পুরবোর্ড তাদেরই থাকবে বলে অশোকবাবুর দাবি।

পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ পরপর দুই ভোটে দুই বোর্ডের দখল নিয়েছিল বামেরা। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে বোর্ডের দখল নিয়ে জল্পনা চলে। মালদহ, জলপাইগুড়ি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা পরিষদ এবং পুরসভা দলবদলে তৃণমূলের হাতে গেলেও অধরা থেকেছে শিলিগুড়ি।

এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন গৌতমবাবুও। পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সময়ই সব উত্তর দেবে। আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে বোর্ডের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। দুই বোর্ড নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। সঠিক সময়ে দল সঠিক পদক্ষেপ করবে।’’

সংখ্যার নিরিখে ৪৭ সদস্যের পুরবোর্ডে বামেরা এখন সংখ্যালঘু। এখন বামেদের কাউন্সিলর সংখ্যা ২২। বামেদের সমর্থনকারী কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সম্প্রতি বোর্ডের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বরো চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর থেকেই বোর্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। শুভেন্দুবাবুর সভা সেই জল্পনাকেই বাড়িয়ে দিল।

Suvendu Adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy