Advertisement
E-Paper

গুলিতে নিহতের বাড়িতে শুভেন্দু

দুষ্কৃতী গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা বিকাশ মজুমদারের (৫২) বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার রাতে ইটাহারের খামরুয়ায় বিকাশের বাড়ি যান তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৩
শুভেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু অধিকারী

দুষ্কৃতী গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা বিকাশ মজুমদারের (৫২) বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার রাতে ইটাহারের খামরুয়ায় বিকাশের বাড়ি যান তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু। মৃতের স্ত্রীর হাতে দলের তরফে শুভেন্দু তিন লক্ষ টাকাও তুলে দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

বিকাশের স্ত্রী শীলা শুভেন্দুকে জানান, তাঁর স্বামীর একার রোজগারেই সংসার চলত। বিকাশের মৃত্যুতে তাঁরা আর্থিক অনটনের মুখে পড়েছেন। তাঁর ছেলে ঋভুকে সরকারি চাকরি দেওয়ার জন্য শুভেন্দুর কাছে অনুরোধও করেন শীলা। ঋভু হরিয়ানার একটি গাড়ি সংস্থায় এতদিন কর্মরত থাকলেও বাবার মৃত্যুর পর থেকে তিনি বাড়িতে রয়েছেন। বিকাশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু বিষয়টি শোনার পরেই ঋভুর জন্য একটি চাকরির আশ্বাস দিয়ে তাঁর বায়োডেটা চেয়ে নেন। বিকাশের খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবার শুভেন্দুর কাছে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তিরও দাবি জানায়। পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘দল নিহত বিকাশবাবুর পরিবারের পাশে রয়েছে।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দুবাবু বিকাশবাবুর ছেলেকে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা ও বিকাশবাবুকে খুনের অভিযোগে ধৃতদের সংশোধনাগারে থাকাকালীন অবস্থাতেই সাজার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ গত ৩১ অগস্ট রাতে ইটাহার সদর এলাকা থেকে বাজার সেরে মোটরবাইকে চেপে খামরুয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন বিকাশ। সেই সময় রাস্তায় দুষ্কৃতীরা একটি চেপে এসে পথ আটকে তাঁর মাথায় গুলি করে খুন করে। এই ঘটনায় পরদিন ইটাহার থানার পাইকপাড়া এলাকা থেকে সুকুমার দাস নামে পেশায় গাড়িচালক স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জ ও ইটাহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুম্রিত দেবশর্মা, লিটন দাস ও নারায়ণ দাস নামে আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে ৭ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা বিজেপি নেতা অলোক সেনের বাড়ি থেকে রায়গঞ্জের উদয়পুর ও চণ্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা সুবীর স্বর্ণকার ও প্রদীপ দেবনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুবীর বিজেপির যুব সংগঠন যুবমোর্চার ইটাহার মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি বলে তৃণমূলের দাবি। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের দাবি।

বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, বিজেপি খুনের রাজনীতি করে না। দোষীদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, পুলিশ তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

Suvendu Adhikari Itahar Murder TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy