সরকারি নির্দেশে ১৯৯০ সাল থেকে পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিকেরা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কাজকর্ম করেন না। পুরসভার ফিনান্স অফিসার ও পুরপ্রধান সেই কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর এ কথাই প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতর ও পুলিশকে চিঠি পাঠিয়ে লিখিত ভাবে দাবি করেছেন রায়গঞ্জ পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক তপনকুমার বর্মন। তাঁর দাবি, ‘‘মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সরকারি নির্দেশিকার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো ছাড়া আমার কোনও উপায় ছিল না।’’
গত ১০ মার্চ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের শিলিগুড়ি আঞ্চলিক দফতরের দুর্নীতি দমন আধিকারিক রামকৃষ্ণ বসু রায়গঞ্জ থানায় তপনবাবুর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরসভা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ ৮৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৩৩ টাকা জমা না দেওয়ার অভিযোগে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত পুরসভার ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। পর দিন থেকে পুরসভায় প্রশাসকের দায়িত্ব রয়েছেন মহকুমাশাসক থেণ্ডুপ নামগিয়েল শেরপা ও পরে যুগ্ম প্রশাসকের দায়িত্ব পান উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, সমস্ত নথি ও তপনবাবুর চিঠি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে! তদন্ত শেষ হলেই গ্রেফতারের প্রসঙ্গ আসবে।
পুরসভার বিদায়ী কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, ‘‘মামলা দায়ের হওয়ার পরে মহকুমাশাসক অগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলেও কংগ্রেস পরিচালিত বিদায়ী পুরবোর্ডের আমলের বকেয়া টাকা শোধ করেননি। এতেই তৃণমূলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র স্পষ্ট।’’ মহকুমাশাসক থেণ্ডুপ ও পুরসভার ফিনান্স অফিসার অনন্য সিংহ রায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অমলবাবুর দাবি, ‘‘আইন আইনের পথে চলছে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মোহিতবাবু সহ বিদায়ী পুরবোর্ডের সদস্যরা পুলিশ ও প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করে রেহাই পাবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy