নব-আশায়: জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রকে চাঙ্গা করতে পাঠানো সব প্রস্তাবই অনুমোদন করল চা পর্ষদ তথা টি বোর্ড। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এই নিলাম কেন্দ্রকে চাঙ্গা করতে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা থেকে আবেদন-নিবেদন চলছে। একাধিক বার বৈঠকও হয়েছে। এত দিন সব প্রস্তাব গিয়ে পর্ষদের টেবিলে জমা হত। এ বার পর্ষদ সেই সব প্রস্তাবে অনুমোদন দিল। গত ২৬ এপ্রিলে লেখা চিঠিতে পর্ষদ নিলাম কেন্দ্রের সব প্রস্তাব অনুমোদন করার কথা জানিয়ে, তা রূপায়ণের একটি রূপরেখাও নিলাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকেই তৈরি করতে বলেছে। সে মতো এই কেন্দ্রে চা নিলাম শুরু হবে। চলতি সপ্তাহেই সব পক্ষকে নিয়ে রূপরেখা তৈরির বৈঠকে বসবেন কর্তৃপক্ষ।
এই নিলাম কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিৎ বক্সীগুপ্ত নিজেও চা পর্ষদের সদস্য। তিনি বলেন, “চা পর্ষদ আমাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। নিলাম শুরু করতে আর কোনও বাধা নেই। এ বার শুধু কী ভাবে প্রস্তাবগুলি অনুমোদন করা হবে, সে সব চূড়ান্ত করতে হবে।”
নিলাম শুরু করলেই হবে না, এখানে লাগাতার নিলাম চালিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। এ জন্য এক দিকে যেমন চা পাতার মসৃণ জোগান প্রয়োজন, তেমনই ক্রেতাও চাই। এর আগে, চা পাতার অভাবেই নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। সে কথা মাথায় রেখে নিলাম কেন্দ্রে আনার পরিবহণ খরচ বাঁচাতে কারখানায় চা রেখেই নিলামের প্রস্তাব দেন কর্তৃপক্ষ। পর্ষদ তা মেনেছে। এই পদ্ধতি কী ভাবে শুরু করা হবে তা নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে। ক্রেতাদের নগদে ছাড়ের প্রস্তাবও অনুমোদন হয়েছে।
নিলাম কেন্দ্রের পরিচালন কমিটির সদস্য ছোট চা বাগানের সংগঠনের সদস্য বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের পাঠানো সব প্রস্তাবই মেনে নিয়েছে চা পর্ষদ। কারখানায় পাতা রেখেই কেন্দ্র থেকে নিলাম চালু করতে পারলে, জলপাইগুড়ি একটি মডেল হবে। চা পর্ষদের অনুমোদন মেলায় আশা করছি, নিলাম শুরু করতে আর বেশি সময় লাগবে না।”
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই কেন্দ্রে নিলাম শুরু হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চা পাতার অভাবে ধুঁকতে শুরু করেছিল এই কেন্দ্র। চা পর্ষদের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে, চলতি সপ্তাহের বৈঠকে নিলামের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে ডেকে নিয়েই নিলাম শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy