আচমকা কমে গিয়েছে কাঁচা চা পাতার দাম। প্রতিবাদে আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা৷
জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিদের অভিযোগ, জিএসটি-র অছিলায় কিছু বটলিফ কারখানার মালিক এই মুহুর্তে জলপাইগুড়িতে কাঁচা পাতার দাম নিজেদের মত করে নিয়ন্ত্রণ করছেন৷ যার ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার হাজার হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি৷ অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই বলে চা পর্ষদের কর্তাদের জানিয়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা৷
ক্ষুদ্র চা চাষিদের একাংশ জানান, বটলিফ কারখানার মালিকেরা দাবি করছেন ক’দিন পরে জিএসটি চালু হবে, সে কারণে এখন চায়ের ক্রেতা মিলছে না।
তার জেরেই কমে গিয়েছে কাঁচা চা পাতার দাম। জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির কর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে এক কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদনে গড়ে খরচ হচ্ছে ১৩টাকা ৫০পয়সা৷ এই পাতা দিন পনেরো আগেও ১৫-১৮টা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু এই ক’দিনে সেই পাতার দাম কেজি প্রতি ৭-১০টাকা নেমে এসেছে। এর ফলে তাঁদের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে বলে সমিতির কর্তাদের অভিযোগ৷
সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, এই মরসুমে ফার্স্ট ফ্লাশ ও সেকেন্ড ফ্লাশে চা চাষ ব্যাপক মার খেয়েছে। চা গাছে পোকার আক্রমণে এই দু’টি ফ্লাশে উৎপাদন প্রায় ত্রিশ শতাংশ কম হয়েছে জলপাইগুড়িতে৷ বিজয়গোপালবাবুর কথায়, ‘‘চাহিদা যদি একইরকম থাকে, তাহলে উৎপাদন কম হলে যেকোনও জিনিসেরই দাম বেড়ে যায়৷ অথচ, কাঁচা পাতার ক্ষেত্রে দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে৷’’
এ দিন ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির নেতারা জলপাইগুড়িতে চা পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন৷ এ মাসে সরকার নির্ধারিত কাঁচা পাতার দাম কেজি প্রতি ১৩টাকা ৯৭পয়সা৷ ওই দামে যাতে ক্ষুদ্র চা চাষিরা কাঁচা পাতা বিক্রি করতে পারেন পর্ষদের আধিকারিকদের কাছে সেই দাবি করেন সমিতির কর্তারা৷ পাশাপাশি কাঁচা পাতার দাম যারা নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা৷
কাঁচা চা পাতার দাম কেন কমেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান জলপাইগুড়ি চা পর্ষদের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy