—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মালিকানা নিয়ে জটে বিপাকে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের কোহিনুর চা বাগানের শ্রমিকেরা। অভিযোগ, বাগান শ্রমিকদের পিএফ-সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। ডুয়ার্সের এই চা বাগানটির মালিকানা নিয়ে জটিলতার জেরেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকেরা। এই পরিস্থিতিতে বাগান শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের বিডিও নিমা ছেরিং শেরপা বলেন, ‘‘কোহিনুর চা বাগানের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যার বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সব দিক দেখে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সূত্রের খবর, ২০২২ সালে কোনও নোটিস ছাড়াই কোহিনুর চা বাগান ছেড়ে চলে যান তৎকালীন মালিকপক্ষ। সমস্যায় পড়ে চা বাগানের প্রায় ৮৮৮টি শ্রমিক পরিবার। প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় পাঁচ মাস পরে ওই বাগানের দায়িত্ব নেয় ‘মেরিকো অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ় প্রাইভেট লিমিটেড’। যদিও চা শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, বর্তমানে তারাও বাগান চালাচ্ছে না। বাগান চালাচ্ছেন অন্য মালিক। মালিকানা নিয়ে এই জটের কারণেই শ্রমিকদের পিএফের টাকা কাটা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। অবসর নিলে মিলছে না গ্র্যাচুইটির টাকাও। শ্রমিকদের অসুস্থতাকালীন ছুটি এবং মাতৃত্বকালীন ছুটিও মিলছে না। শুধু বাগানে কাজ করে মজুরি মিলছে শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এ নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।
কোহিনুর চা বাগানের শ্রমিক বেরোনিকা চিক বরাইকের অভিযোগ, ‘‘আমরা চা বাগানে কাজ করে শুধু মজুরির টাকা পাচ্ছি। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাদের
বঞ্চিত হতে হচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসনের সহযোগিতায় কোহিনুর চা বাগানের চা শ্রমিকেরা সব রকম সুবিধা পাক।"
কোহিনুর চা বাগানের বর্তমান ম্যানেজার দীনেশ চৌবের বক্তব্য ‘‘মেরিকো অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ় প্রাইভেট লিমিটেড দীর্ঘদিন রুগ্ন কোহিনুর বাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে, তিন বছরের জন্য বিশেষ-বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু ছাড় নিয়ে লিখিত ভাবে বাগানের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চা বাগান আমরাই চালাচ্ছি। পিএফের টাকা নিয়ে কোহিনুর চা বাগানে সমস্যা রয়েছে। শ্রমিকেরাই লিখিত ভাবে টাকা না কাটার আবেদন করেছিলেন। অসুস্থতা এবং মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করলে শ্রমিকদের অবশ্যই দেওয়া হয় এবং হবে।’’
বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ-এর জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ গুণ বলেন, ‘‘কোহিনুর চা বাগানে মালিকানা-সহ একাধিক সমস্যা থাকায় চা শ্রমিকেরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে শ্রমিক পরিবারগুলি খুবই বিপদে পড়বে। দ্রুত এ নিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’ একই দাবি তুলেছেন আইএনটিইউসির জেলা সাধারণ সম্পাদক কেদার নেওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy