Advertisement
E-Paper

বালিকাকে গণধর্ষণ করে ‘খুন’

এর আগে ১০ এপ্রিল হেমতাবাদের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের বাহারাল জঙ্গল থেকে ওসমান গনি (১১) নামে এক বালকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় মালনের জমাদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই বালকের কাছ থেকে মোবাইল হাতানোর জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার হল এক বালিকার ঝুলন্ত দেহ। উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই বালিকার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, পাশের গ্রামের এক তরুণ ও তিন কিশোর তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে গলায় তারই ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করেছে, তারপরে তাকে বাঁশঝাড়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এ দিন এক তরুণকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অভিযুক্ত তিন কিশোর পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

এর আগে ১০ এপ্রিল হেমতাবাদের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের বাহারাল জঙ্গল থেকে ওসমান গনি (১১) নামে এক বালকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় মালনের জমাদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই বালকের কাছ থেকে মোবাইল হাতানোর জন্য তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে ওই দিন ওসমানের প্রতিবেশী সোয়েল রানা নামে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনার দু’দিনের মাথায় ফের ওই থানা এলাকায় এক বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। এ দিন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ওই বালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ।

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘‘ওই বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

বৃহস্পতিবার থেকে ওই বালিকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সে স্থানীয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবার দাবি, সেই দিন বিকেল চারটে নাগাদ গরুর খাওয়ার জন্য ঘাস কাটতে যায় তাঁর মেয়ে। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। সারা রাত ধরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি। এ দিন সকালে বাসিন্দারা ওই বালিকার দেহটি একটি বাঁশঝাড়ে ঝুলতে দেখেন। তার বাবার দাবি, ‘‘মেয়ের দু’পা মাটি ছুঁয়ে ছিল।’’

তিনি বলেন, ‘‘রাতে কয়েক জন বাসিন্দার কাছ থেকে জানতে পারি, ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁরা আমার মেয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক তরুণ ও তিন কিশোরকে কথা বলতে দেখেছেন।’’ তার পরে ওই তরুণের বাড়িও যান তাঁরা। গভীর রাতে বাসিন্দারা তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ওই ছাত্রীর বাবার দাবি, ‘‘অভিযুক্তরা আমার মেয়েকে ওই বাঁশঝাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করেছে।’’

ওই তরুণের দাবি, তিনি নির্দোষ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে ওই তরুণের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই গণধর্ষণ এবং খুন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Crime Rape Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy