E-Paper

ভাঙচুরে অভিযুক্ত আদিবাসীরা

সীমানা প্রাচীর থাকার পরেও তির-ধনুক নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীরা কী ভাবে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে পড়লেন, উঠেছে প্রশ্ন।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০০
তপশিলি উপজাতি ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের দাবিতে মালদহ জেলাশাসকের সদর দপ্তরের তীর ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের আন্দোলনকারীদের। ছবি স্বরূপ সাহা।

তপশিলি উপজাতি ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের দাবিতে মালদহ জেলাশাসকের সদর দপ্তরের তীর ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের আন্দোলনকারীদের। ছবি স্বরূপ সাহা।

জনজাতি শংসাপত্রে অনিয়মের অভিযোগকে ঘিরে আদিবাসী সংগঠনের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদহের প্রশাসনিক ভবন। অভিযোগ, বুধবার জেলাশাসককে দফতরে না পেয়ে প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করেন আদিবাসী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং রথবাড়ি ফাঁড়ির ওসি সত্যব্রত ভট্টাচার্য আক্রান্ত হয়েছেন।

সীমানা প্রাচীর থাকার পরেও তির-ধনুক নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীরা কী ভাবে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে পড়লেন, উঠেছে প্রশ্ন। প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনিক ভবনের চারপাশে সীমানা প্রাচীর রয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের প্রশাসনিক ভবনের ২৫ মিটার দূরে সীমানা প্রাচীরেই আটকে দেওয়া হয়। পরে, প্রশাসনের অনুমতিতে পুলিশের প্রহরায় প্রতিনিধি দল প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। এ দিনও আদিবাসীদের শংসাপত্র নিয়ে আন্দোলনে পুলিশ মোতায়ন ছিল। কর্তব্যরত পুলিশের একাংশের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য শয়ে শয়ে আদিবাসী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে পড়েন। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদিবাসী না হলেও দেদার জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এ দিন এই অভিযোগ তুলে শহর জুড়ে তির-ধনুক নিয়ে মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনে স্মারকলিপি দিতে আসেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে, প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে গেলে জেলাশাসক অফিসে না থাকায় তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রশাসনিক ভবনের সীমানা প্রাচীরের মূল দরজা ঢেলে প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। ভবনের সদর দরজায় ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। সংগঠনের সভাপতি প্রভাত কিস্কু এ দিন বলেছেন, “স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে আগাম জানানো হয়েছিল। তার পরেও জেলাশাসক দফতরে ছিলেন না। তাই, কর্মী, সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।” বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি ওই দিন বলেছেন, “সকাল থেকেই সরকারি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় দফতরের ছিলাম না। আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি নেওয়া হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Protest North Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy