Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Tea Gardens

বাগানে পাট্টা-জটিলতা কাটাতে ‘মুখোমুখি’ আলোচনার নীতি

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পাট্টা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জলপাইগুড়ি জেলার দলীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলি দেখভালের দায়িত্ব গৌতমকে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

An image of Tea Garden

চা বাগানের কাজের শেষে সাইকেলে চেপে বাড়ির পথে মহিলা শ্রমিকেরা। জলপাইগুড়ির একটি চা বাগানে। মঙ্গলবার। ছবি: সন্দীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১০
Share: Save:

চা বাগানে পাট্টার সমস্যা মেটাতে বাগান মালিকদের সঙ্গে ‘মুখোমুখি’ আলোচনার নীতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের দাবি, এক-একটি চা বাগানের প্রেক্ষিত এক-এক রকম। সে কারণে, সার্বিক আলোচনা না করে ‘একের সঙ্গে এক’ ভিত্তিতে মুখোমুখি আলোচনা হচ্ছে। তাতে সুফলই মিলছে বলে দাবি প্রশাসনের।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পাট্টা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, জলপাইগুড়ি জেলার দলীয় রাজনৈতিক বিষয়গুলি দেখভালের দায়িত্ব গৌতমকে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধেয় জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন গৌতম। শহর এলাকায় পাট্টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে, গৌতমের প্রাক্তন বিধানসভা ক্ষেত্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুরসভার অধীন জলপাইগুড়ি জেলার ১৪টি ওয়ার্ডের পাট্টা বিলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত লোকসভা ভোটে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভায় প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটের পরে গত বিধানসভায় এই আসনে দাঁড়িয়ে হেরে যান প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম। তার পরের বছরেই শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটে ওই ওয়ার্ডগুলিতে বিপুল জয় পায় তৃণমূল। সংযোজিত ওয়ার্ড থেকেই বিপুল ব্যবধানে জিতে মেয়র হন গৌতম। লোকসভা ভোটেও সেই সাফল্য পেতে তৃণমূলের হাতিয়ার হতে চলেছে পাট্টা বিলিও।

গৌতম এ দিন বলেন, “কিছু পদ্ধতিগত কারণে দীর্ঘদিন ১৪টি ওয়ার্ডে পাট্টা বিলি বন্ধ ছিল। সেই জট কেটেছে। দ্রুত হাজারেরও বেশি পাট্টা বিলি হবে।”

গত ডিসেম্বরে বানারহাটের প্রশাসনিক সভা থেকে চা বাগানের পাট্টা বিলি দ্রুত সারতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভার পরে, চা শ্রমিকদের আবাসনের জমিতেই পাট্টা বিলির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সে মতো সমীক্ষা শুরু হয়েছে। পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, পাট্টা নয়, জমির মালিকানা দিতে হবে শ্রমিকদের। সম্প্রতি তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ শ্রমিক নেতা রাজেশ লাকড়া দল ছাড়ার ঘোষণা করে দাবি করেছিলেন, চা শ্রমিকদের উদ্বাস্তু পাট্টা দেওয়া হচ্ছে, যা অপমানজনক। বেশ কিছু বাগানে সমীক্ষায় বাধাও আসে। গৌতম বলেন, “চা শ্রমিকদের উদ্বাস্তু পাট্টা দেওয়া হচ্ছে না। কে, কী বলল, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের অধিকার দিচ্ছে।”

চা বাগানে পাট্টা বিলি নিয়ে মালিকদের তরফেও আপত্তি তোলা হয়েছে। শ্রমিক আবাসনের জমিতে পাট্টা দিলে বাগানের পরিচালনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি তাঁদের। এ দিন এ বিষয়ে জেলাশাসক শামা পারভীন বলেন, “প্রতিটি চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক হচ্ছে। সমস্যা বা জটিলতা থাকলে, কেটে যাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tea gardens Jalpaiguri Group Discussion Tea Board
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE