এনআরসি আর সিএএ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেন না তাঁরা। কারণ প্রতিটা দিনই তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়। কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিস্তা নদীর চরে থাকা ফকতের চর এলাকার বাসিন্দারা তাই নিজেদের নিজভূমে পরবাসী বলেই মনে করেন।
চরের বাসিন্দাদের নদী পার হতে ভোটার কার্ড লাগে। জমি চাষ করতে যেতে ভোটার কার্ড লাগে। গ্রাম থেকে শহরে যেতেও ভোটার কার্ড দেখাতে হয়। ফকতের চরের মতো কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু গ্রামে, বাইরে থেকে ভিতরে যেতে হলে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে ভোটার কার্ড জমা রেখে যেতে হয়। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো তিস্তার চরে এ ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন দেড়শো পরিবারের প্রায় এক হাজার মানুষ।
ওই এলাকায় যেতে হলে প্রথমে নৌকোয় ১০০ মিটার পার হওয়ার পর দুর্গম চর এলাকা। এবড়োখেবড়ো আড়াই কিলোমিটার চরের রাস্তা বাসিন্দারা পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করেন। এলাকার কয়েকজন চাষের কাজে ট্রাক্টর ব্যবহার করেন। কেউ অসুস্থ হলে বা অন্য জরুরি প্রয়োজনে, অনেক সময় ট্রাক্টরে করে এই পথ অতিক্রম করেন তাঁরা। রাস্তা এতটাই খারাপ, যে পদে পদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। চর পেরিয়ে আবার নদী। আবার নৌকোয় চড়া। এ বার ১৫০ মিটার নৌকায় যাওয়ার পর তবে ফকতের চর এলাকায় পৌঁছনো যাবে।