Advertisement
E-Paper

নথি ‘পুড়িয়ে’ ফেলার ঘটনায় পুলিশি তদন্ত

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিকারিকদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই সকলের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:০৪
প্রতিবাদ: বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র বিক্ষোভ। ছবি: স্বরূপ সরকার।

প্রতিবাদ: বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র বিক্ষোভ। ছবি: স্বরূপ সরকার।

সোমবার রাতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের ভবনের পিছনের অংশে নথি ‘পোড়ানো’র ঘটনার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। মঙ্গলবার মাটিগাড়া থানার পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুদাস লামার সঙ্গে কথা বলে। জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরীক্ষা নিয়ামক দেবাশিস দত্ত ছুটিতে রয়েছেন জেনে তাঁর ফোন নম্বর নেয়। অন্য দিকে, উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পরে, অচলাবস্থা কাটাতে নতুন কাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, কর্মী, আধিকারিকেরা। উচ্চ শিক্ষা দফতর তা নিয়ে কী ভাবছে তা নিয়ে অনেকে খোঁজখবর করার চেষ্টা করেন।

নথি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ডিসিপি(পশ্চিম) কুনওয়ারভূষণ সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে মাটিগাড়া থানার পুলিশ আধিকারিককে জানানো হয়েছে। রিপোর্ট দেখে, সে মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিকারিকদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই সকলের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার জন্য এ দিন দিল্লি যান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রণবকুমার ঘোষ। উপাচার্যের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করে বিজেপি এবং তাদের যুব মোর্চা। উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে ‘নিন্দা’ জানানো হয় এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ দাস জানান, সোমবার রাতে নথি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ক্যামেরা-বন্দি হয়েছে। কর্মীদের একাংশ মেনেছেন, তাঁরাই পুড়িয়েছেন। যদি তদন্তে অসহযোগিতা করা হয়, তা হলে যিনি বা যাঁরা নথি জ্বালিয়েছেন এবং স্বীকার করেছেন, তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতিতে যিনি যুক্ত, যিনি কোটি কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের খাইয়েছেন, তাঁকে কোন উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে পাঠানো হয়েছিল? এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছেন সেটি জালিয়াতি করে পাওয়া।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তা নিয়ে আমরা কিছু বলছি না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখছেন। তবে বিজেপির যে কোনও কাজ নেই তা সকলেই জানেন।’’

Siliguri Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy