ফআইল চিত্র।
মালদহে সরকারি ভাবে আলু বিক্রি শুরু করতেই খুচরো বাজার তো বটেই, হিমঘরের গেট পয়েন্ট ও পাইকারি বাজারে দাম বাড়ল আলুর। জেলার হিমঘর পয়েন্টে দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য হিমঘর কর্তৃপক্ষ বা পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কথা বললেও অভিযোগ, একাংশ ব্যবসায়ী ও ফড়েরা কয়েক জন কৃষককে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়েছেন।
যদিও এ দিন সকালে মকদুমপুর বাজারে ২৮ টাকা কেজি দরে সরকারি ভাবে পোখরাজ আলু বিক্রি করে প্রশাসনের তরফে মালদহ নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন আধঘণ্টায় প্রশাসনের আনা ৯৬ কেজি আলু বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবে, এ দিন জেলা সদরের প্রায় সব বাজারেই জ্যোতি আলু ৩৫ টাকা ও পোখরাজ ৩২-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমঘর মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি করার কথা ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। এ দিন সকাল থেকে মকদুমপুর বাজারে জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কর্মীরা আলু বিক্রি শুরু করেন। কথা ছিল, হিমঘর গেট পয়েন্ট থেকে আলু কিনে এনে তিন টাকা লাভ রেখে সেই আলু বাজারে বিক্রি করা হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে হিমঘরের গেট পয়েন্টে প্রতি কুইন্ট্যাল ২২৬০ টাকা দরে পোখরাজ আলু বিক্রি করা হচ্ছিল। সেই আলু মালদহ জেলার পাইকারি আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ২৪০০ টাকা দরে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন হিমঘর গেট পয়েন্ট বা পাইকারি বাজারে আলুর দাম কুইন্ট্যাল প্রতি ১০০ থেকে দেড়শো টাকা বেড়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে আলু বিক্রি করতে এ দিন নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি কর্তৃপক্ষকে পাইকারি বাজার থেকে ২৭৫২ টাকা কেজি দরে পোখরাজ আলু কিনতে হয়েছে এবং তা তাঁরা ২৮ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করেছেন।
পুরাতন মালদহের একটি হিমঘরের মালিক বলেন, ‘‘কৃষকেরা আলু হিমঘরে রেখেছেন। তাই সেই আলু কী দামে বিক্রি হবে তা কৃষকরাই ঠিক করছেন।" এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বলেন, "কৃষকেরা হিমঘর থেকে বের করা আলুর দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় আমাদেরও বাড়তি দামে তা কিনে সামান্য কিছু লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy