সপ্তাহের প্রথম দিন, তবে দেখা গেল না জলপাইগুড়ির কদমতলার পরিচিত জমজমাট চিত্রটা। দোকানপাট, শপিং মল ছিল বন্ধ। রাস্তায় লোকজন থাকলেও সংখ্যায় ছিল অনেক কম।
শান্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ডেও যাত্রীদের ভিড় সোমবার চোখে পড়েনি। বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস পরিষেবা। সরকারি বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। টাউন স্টেশনে সকালে হলদিবাড়ি শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও আনাজ ব্যবসায়ীদের ভিড় বা যাত্রীদের হুড়োহুড়ি এদিন চোখে পড়েনি। বন্ধ সর্বাত্মক হয়েছে, দাবি ধর্মঘটকারীদের। এদিন কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
এদিন সকাল থেকেই মাছ বা আনাজের কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক, জীবন বিমা নিগম। রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন ধর্মঘটকারীরা। বেলায় বৃষ্টি একটু কমলে পিকেটিং-এ নামে বামপন্থী সংগঠনগুলি। যে কয়েকটি দোকান খোলা ছিল সেগুলি জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন এক টোটোচালক। তবে এর বাইরে বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।