রাষ্ট্রপতির পাহাড় সফরের সময় বন্ধ চা বাগানের সমস্যা তুলে ধরতে মরিয়া মোর্চার শ্রমিক সংগঠন।
পাহাড়ের পাঁচটি চা বাগানে অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর দাবিতে ওই সময় রাস্তা অবরোধ এবং সমস্ত চা বাগানে বনধের হুমকি দিল দার্জিলিং তরাই, ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়ন। আগামী ১২ জুলাই পাহাড় সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন থেকে রাস্তা অবরোধ এবং পাহাড়ের বাগানগুলিতে ধমর্ঘট করা হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের তিনটি বাগান, যোগমায়া চা বাগান এবং পানিঘাটা বাগানে অচলাবস্থা চলছে। কোনওটি বন্ধ রয়েছে, আবার কোনটিতে কাজ হলেও শ্রমিকেরা সুযোগ সুবিধা এবং মজুরি পাচ্ছেন না। বাগান স্বাভাবিক করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতেই আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
সংগঠনের আইনি পরামর্শদাতা তিলকচন্দ রোকা জানান, জেলাশাসকের দফতরের সামনে গত ২১ দিন ধরে রিলে অনশন কর্মসূচি চালাচ্ছেন পাহাড়ের শ্রমিকরা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে রাস্তা অবরোধ ও পাহাড়ের ৮৭ টি চা বাগানে ধর্মঘট ডাকা ছাড়া আমাদের কিছু আর করার নেই। রাষ্ট্রুপতি ও মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসছেন। বিষয়টি তাঁদের নজরে আনার জন্য ওই ধরণের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।’’ ২-৩ দিনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, তিলকচন্দ রোকা মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
জানা গিয়েছে, অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের ধোতরে, ক্যালেজভ্যালি ও পেশ চা বাগানে অচলাবস্থা চলছে। শ্রমিকদের মজুরি, পিএফ, গ্র্যাচুইটি-সহ বিভিন্ন বকেয়া মিলিয়ে ১০ কোটি টাকা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তেমনিই যোগমায়া চা বাগানে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৪৬ লক্ষ টাকার মতো। পানিঘাটা চা বাগান গত বছরের অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। সেখানেও বকেয়া দাঁডিয়েছে কয়েক কোটি টাকা। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে কয়েক হাজার শ্রমিক সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। এ দিন কার্শিয়াঙের বিধায়ক রোহিত শর্মা এবং দার্জিলিঙের বিধায়ক অমর রাই জেলাশাসকের দফতর চত্বরে রিলে অনশনস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা শ্রমিকদের জানান, রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করছেন। দ্রুত সমাধান সূত্র বার করার চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy