অভিযোগ: বৈঠকে মেয়র। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তিন নম্বর বরো চেয়ারম্যানের পদ ফাঁকা। তাই পরিষেবার বিভিন্ন কাজে সমস্যা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে মেয়রকে স্মারকলিপি দিলের শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলররা। শুক্রবার তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে সমস্যা মেটানোর দাবি জানান। অন্যথায় মেয়রের দফতরের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের পদ ফাঁকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুজয় ঘটক ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। তা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফের কথা বলে ৩১ মার্চের মধ্যেই ব্যবস্থা নেব।’’ বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের অভিযোগ, চেয়ারম্যান না-থাকায় ওই বরোর কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে। বরোর মিটিং না-হওয়ায় বাড়ির নকশা পাস থেকে, রাস্তা তৈরি-সহ বিভিন্ন কাজের টেন্ডার আটকে থাকছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ না-থাকায় তার কাজর্কমও থমকে পড়েছে।
উন্নয়ন কাজে বরাদ্দে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে বোর্ড মিটিংয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুজয়বাবু। পরে গত ২ জানুয়ারি বরো চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা চেয়ে তিনি চিঠি দিলেও তা গ্রহণ করেননি মেয়র। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ ছিলেন দুর্গা সিংহ। তিনি গত বছরই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ মেয়র দেখছেন। মেয়রের দাবি, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের কেউ সভাপতিত্ব করলেই বরো কমিটির বৈঠক হতে পারে। শিলিগুড়ি পুরসভায় সাত জন মেয়র পারিষদ রয়েছেন। কত জন মেয়র পারিষদ থাকবে, তা রাজ্য ঠিক করবে বলে নতুন নিয়ম হচ্ছে। একাধিক বিভাগ মেয়র হাতে রাখতে পারেন। তাতে কাজের অসুবিধা নেই। সুজয় বলেন, ‘‘উন্নয়ন কাজে বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেখিয়ে আমাদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। তাই বরো চেয়ারম্যান পদে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy