বিজেপি বাঙালিদের কথা ভাবে না। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে সে কারণে বাঙালি পীড়ন চলছে। তেমনই অভিযোগ তুলে বিজেপির ‘বাঙালির বিদ্বেষের’ কথা দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিতে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। তৃণমূলের এমন অভিযোগকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ‘বাঙালি-বিরোধী’ মনোভাবের কথা দলীয় কর্মী-নেতাদের গ্রামে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে অত্যাচার থেকে অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনালের নোটিসের উদাহারণ সামনে রেখে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রতি বুথে বৈঠক করেন তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ-স্তরের বৈঠকে সাংগঠনিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচারের অভিমুখ কী হবে তা নিয়েও নির্দেশ দিচ্ছেন অভিজিৎ। রবিবার চিলকিরহাট অঞ্চল নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, ‘‘সাংগঠনিক আলোচনা করা হচ্ছে বৈঠকে। আর বিজেপি যে বাঙালি বিরোধী তা স্পষ্ট। তাদের ভূমিকা কারও অজানা নয়। জেলার প্ৰতিটি মানুষের কাছে আমরা সে কথা পৌঁছে দিতে চাই।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য মানুষ আর গুরুত্ব দেন না। মানুষ রাজ্যে পরিবর্তনের জন্য তৈরি হয়ে আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন বাসিন্দাকে অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনাল নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নোটিস ধরিয়েছে। যা নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেয় তৃণমূল। সেই সঙ্গে হরিয়ানা, রাজস্থানে বেশ কয়েক জন কোচবিহারের পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যে ভিন্ রাজ্যে থেকে কোচবিহারে ফিরেছেন। এই দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করছে তৃণমূল। শাসক দল মনে করছে, দু’টি ঘটনায় বিজেপির উপরে ক্ষুব্ধ মানুষ। সে কারণেই তা নিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি অবশ্য তাতে গুরুত্বদিতে নারাজ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)