Advertisement
E-Paper

পাল্টা পথে তৃণমূলও

এ দিন ডুয়ার্সের বিভিন্ন থানায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মিছিল করে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। তবে যেখানেই মিছিলের প্রস্তুতি হয়েছে পুলিশ রুখে দিয়েছে। পুলিশের দাবি, দার্জিলিঙে মোর্চার মিছিল থেকে পরপর অশান্তি হয়েছে, সে কারণে ডুয়ার্সে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।

কৌশিক চৌধুরী ও রাজকুমার মোদক

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০১:৫১
বন্ধ: বন্‌ধে দার্জিলিঙের একটি দোকান। ছবি: সন্দীপ পাল

বন্ধ: বন্‌ধে দার্জিলিঙের একটি দোকান। ছবি: সন্দীপ পাল

মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বনধের মাঝেই পাহাড়ি পথে মিছিলে স্লোগান উঠল ‘বিমল গুরুঙ্গ গো ব্যাক’।

শুক্রবার মিরিকে মিছিল করে তৃণমূল। শান্তি ফেরানোর দাবিতে মিছিল বলে দাবি করলেও, আদতে পাহাড়ে যে মোর্চার একার আধিপত্য আর নেই সেই বার্তাই এ দিন দেওয়া হল বলে দলের নেতাদের একাংশের দাবি। অন্যদিকে, এ দিন ডুয়ার্সেও মোর্চার মিছিল রুখেছে পুলিশ। কালচিনি, জয়গাঁ, বীরপাড়ায়। মোর্চা সমর্থকরা মিছিলের প্রস্তুতি নিলেও অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ আটকে দেয়। অন্যদিকে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হচ্ছে। এ দিন কালিম্পঙে হরকাবাহাদুর ছেত্রীর দল জাপ পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে গুরুঙ্গের বাড়িতে তল্লাশি, হামলার নিন্দা করেছেন।

এ দিন ডুয়ার্সের বিভিন্ন থানায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মিছিল করে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। তবে যেখানেই মিছিলের প্রস্তুতি হয়েছে পুলিশ রুখে দিয়েছে। পুলিশের দাবি, দার্জিলিঙে মোর্চার মিছিল থেকে পরপর অশান্তি হয়েছে, সে কারণে ডুয়ার্সে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। এ দিকে মিরিকে আজ নবগঠিত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই সহ তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হয়েছে। সকালেই মিরিকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে মোর্চার বিরুদ্ধে। তারপরেই দুপুরে মিছিল করে তৃণমূল। এই ঘটনাকেও নজিরবিহীন বলে দাবি করেছেন পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রবীণ নেতাদের অনেকেই। পাহাড়ে তৃণমূলের মুখপাত্র বিন্নি শর্মার দাবি, ‘‘দলের সভাপতি রাজেন মুখিয়ার নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের মনোবল এখন তুঙ্গে।’’

একদা জিএনএলএফ নেতা দাওয়া পাখরিন এখন গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নির্মাণ মোর্চার সভাপতি। এ দিন তিনি শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, ‘‘বিমল গুরুঙ্গের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তার আগে মোর্চার দলীয় অফিস ভাঙচুর হয়েছে। তিরধনুক যা মিলেছে সেগুলো প্লাস্টিকের।’’ বিমল গুরুঙ্গ জিটিএ প্রধান, তাঁর বাড়িতে কেন ভাঙচুর হয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন চালাতে গেলে মোর্চাকে জিটিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত বলে দাবি দাওয়া পাখরিনের। অন্যদিকে, জন আন্দোলন পার্টির প্রধান হরকা বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা চাইনি। রাজ্যের তরফেও কিছু ভুল রয়েছে। ভাষা নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ জিটিএ চুক্তি অমান্য করার সামিল।’’

TMC GJM Strike বিমল গুরুঙ্গ Bimal Gurung Mamata Banerjee হরকাবাহাদুর ছেত্রী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy