Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পূর্ণেন্দুকে প্রার্থী করে রায়গঞ্জে চমক তৃণমূলের

রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের একদা ডান হাত বলে পরিচিত পূর্ণেন্দু দে-কে (বাবলু) রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী করে চমক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন মোহিতবাবু কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন এই পূর্ণেন্দুবাবুই তাঁর নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম দায়িত্ব পালন করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৫
Share: Save:

রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের একদা ডান হাত বলে পরিচিত পূর্ণেন্দু দে-কে (বাবলু) রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী করে চমক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যখন মোহিতবাবু কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন এই পূর্ণেন্দুবাবুই তাঁর নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে পূর্ণেন্দুবাবু জেলা পরিষদের তৃণমূলের সহকারী সভাধিপতি। তৃণমূলের অন্দরের খবর, পূর্ণেন্দুবাবুর নেতৃত্বে প্রায় দেড় বছর আগে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সদস্যদের একাংশকে দলে টেনে বামেদের কাছ থেকে জেলা পরিষদের দখল নেয় তৃণমূল। তার পুরস্কার হিসেবেই পূর্ণেন্দুবাবুকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, ‘‘পূর্ণেন্দুবাবু দীর্ঘদিনের প্রবীন রাজনৈতিক। তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দল শক্তিশালী হয়েছে। দিদি যোগ্য লোককেই প্রার্থী করেছেন।’’

কংগ্রেস সূত্রের খবর, এবছরও কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোহিতবাবু। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচনে কোনও প্রার্থীকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছি না। বিরোধী সব দলের প্রার্থীরাই আমার কাছে সমান। উন্নয়নের স্বার্থে বাসিন্দারা আমাকেই সমর্থন করবেন।’’

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের দাবি, ‘‘শাসক দলের সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, তোলাবাজি ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে বাসিন্দারা মোহিতবাবুকেই ফের জয়ী করবেন। তাই কোন দল কাকে প্রার্থী করল তা নিয়ে কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না।’’

রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা পূর্ণেন্দুবাবু ১৯৭৮ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৩ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পর পর তিনবার কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কখনও পূর্ত আবার কখনও বিদ্যুত কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ৩ জন ও বামেদের ৭ জন জেলা পরিষদ সদস্যকে নিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। একইসঙ্গে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের আরেক সদস্য আলেমা নুরিকে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। আলেমাদেবীকেও এবছর চাকুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন মমতা।

পূর্ণেন্দুবাবু ও আলেমাদেবী বলেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা পরিষদ উপহার দিয়েছিলাম। দল আমাদের মর্যাদা দেওয়ায় গর্ব অনুভব করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC candidate list assambly election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE